সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ডাকা এক দফার আন্দোলন ঘিরে ঢাকার নিম্ন আদালতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার পর দ্বিতীয় ধাপের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে বিভিন্ন থানা থেকে আসা আসামিদের রিমান্ড ও জামিন শুনানি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়নি। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিএমএম আদালত চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় আন্দোলনকারীরা হাজতখানার সামনে থাকা পুলিশের একটি প্রিজনভ্যান ও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ছাড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেছনের গেটের নিচতলার সিঁড়ির রেলিং ভাঙচুর করে। এর পর থেকে আদালত প্রাঙ্গণে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে আজ সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট ও নিম্ন আদালত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের পৃথক তিন বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে প্রধান বিচারপতি যে কোনো সময় বিচার কাজ পরিচালনার আদেশ দেবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। আপিল বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিচারিক কার্যক্রম ও অফিস বন্ধ থাকবে। তবে প্রধান বিচারপতি জরুরি প্রয়োজন সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। হাই কোর্ট বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিচারিক কার্যক্রম ও অফিস বন্ধ থাকবে। তবে প্রধান বিচারপতি জরুরি প্রয়োজনে যে কোনো সময় জরুরি বেঞ্চ গঠন করে বিচার কাজ পরিচালনার আদেশ দেবেন। অধস্তন আদালতের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অধস্তন আদালত/ ট্রাইব্যুনাল বিচারিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে প্রধান বিচারপতি জরুরি প্রয়োজনে যে কোনো সময় যে কোনো আদালতকে বিচার কাজ পরিচালনার আদেশ দেবেন।
এ ক্ষেত্রে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত থাকবেন।