তালা ভেঙে হলে উঠেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা মীর মশাররফ হোসেন হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন। পরে ফজিলাতুন্নেছা হল, বেগম রোকেয়া হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা হল, প্রীতিলতা হল, বেগম সুফিয়া কামাল ও শেখ হাসিনা হলের তালা ভাঙা হয়। তবে শিক্ষার্থী সংখ্যা কম হওয়ায় তারা হলে অবস্থান করবেন না বলে জানিয়েছেন। আজ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বাড়লে বাকি হলের তালা ভেঙে সেখানে ঢুকবেন তারা। এর আগে, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে হলে প্রবেশের বিষয়ে মতবিনিময় সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে গিয়ে তালা ভেঙে প্রবেশ করেন। পরে তারা মিছিল নিয়ে ছাত্রীদের আবাসিক হলের দিকে যান।
এদিকে শনিবার বিকালে আবাসিক হল খুলে দিতে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময়ের মধ্যে হল না খুলে দিলে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার সমন্বয়ক তৌহিদ সিয়াম বলেন, প্রশাসন তাদের যৌক্তিক আন্দোলন থামাতে মাত্র চার ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে হল বন্ধ করে দেয়। ওই দিন বিকালে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি নিক্ষেপ করে। এতে সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের থাকার জায়গা নেই। ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী এলাকায় অনেকে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। সেখানেও পুলিশ হয়রানি করেছে। এই হয়রানি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য হল খোলার জন্য তারা প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা কর্ণপাত করেনি। যার কারণে তারা হলের তালা ভাঙতে বাধ্য হয়েছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি সায়েদুর রহমান বলেন, হলের তালা ভাঙার বিষয়টি জানি না। আমি সাভারের একটি হাসপাতালে রয়েছি। শিক্ষার্থীরা আলটিমেটাম দিয়েছিল, তবে সেটা বিবেচনা করা প্রশাসনের ব্যাপার।