পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। নানা রকম প্রতিযোগী মোকাবিলা করে আগের বছরের মতো ২০২৩ সালেও চীনের পরই রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। গতকাল পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অংশ ২০২২ সালের ৭ দশমিক ৮৭ থেকে হ্রাস পেয়ে ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ হয়েছে। গেল বছর রপ্তানি মূল্য ১৫ দশমিক ৩২ শতাংশ কমে ৩ হাজার ৮৪০ কোটি ডলার হয়েছে। বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে চীনের অবস্থান প্রথমই রয়ে গেছে। আগের বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমে গেছে ২০২৩ সালে। একইভাবে কমেছে রপ্তানি মূল্যও। ২০২২ সালে ১৮ হাজার ২৪২ কোটি ডলার থেকে ১৬ হাজার ৪৭৪ কোটি ডলারে নেমে এসেছিল। ২০২২ সালে চীনের বাজার অংশীদার ৩১.৬৭ শতাংশ থাকলেও কিছুটা কমে ২০২৩ সালে ৩১.৬৪ শতাংশে স্থিতিশীল রয়েছে। তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক হিসেবে স্থান পেয়েছে ভিয়েতনাম। রপ্তানি মূল্য ১২ শতাংশ কমে ২০২৩ সালে ৩ হাজার ১০৪ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। এ ছাড়া তুরস্কের পোশাক রপ্তানি ৫.৮৯ শতাংশ কমেছে, যা অন্যান্য প্রধান রপ্তানিকারকদের তুলনায় স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানা গেছে। একইভাবে ভারত ১৩.২৪, ইন্দোনেশিয়া ১৭.২৭ ও কম্বোডিয়া ১২.৫৯ শতাংশ মূল্য কমেছে। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক জলবায়ুতে পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলোর মুখোমুখি হওয়া বিস্তৃত চ্যালেঞ্জগুলোকেই চিহ্নিত করা হয়েছে।
এদিকে বৈশ্বিক পোশাক বাজারের রপ্তানি ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ কমেছে। ২০২২ সালে পোশাকের বৈশ্বিক বাজার ৫৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা থেকে কমে ২০২৩ সালে ৫২ হাজার ৬২ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।