সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং তাদের স্ত্রী সন্তানদের ব্যক্তিগত ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নির্দেশদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ফিন্যান্সিয়াল) অভিযুক্তদের হিসাবের সব ধরনের লেনদেনের তথ্য চাওয়া হয়। গতকাল বাণিজ্যিক ব্যাংকে পাঠানো বিএফআইইউয়ের চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। চিঠিতে বলা হয়েছে আসাদুজ্জামান খান, তার স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান এবং মেয়ে সাফিয়া তাসনিম খানের নামে থাকা সব ধরনের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক হিসাব বন্ধ থাকবে। চিঠিতে আসাদুজ্জামান খান ও তার পরিবারের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে। অর্থ পাচার নিরোধসংক্রান্ত ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী এ আদেশ দিয়েছে বিএফআইইউ।
প্রাথমিকভাবে আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবেন না সংশ্লিষ্টরা। পরবর্তীতে প্রয়োজনে জব্দ রাখার সময় আরও বাড়ানো হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে সাবেক টেলিযোগাযোগও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন কণিকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত (ফ্রিজ) করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বিএফআইইউ বলছে, তাদের হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়ায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের পিরোজপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ, তার স্ত্রী উম্মে কুলসুম ও সন্তান সাম্মাম জুনায়েদ ইফতির ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বিএফআইইউ। তাদের নামে থাকা ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক হিসাবের কেওয়াইসি, অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, লেনদেন বিবরণীসহ যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত সোমবার সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তার স্ত্রী, সন্তান কিংবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে অ্যাকাউন্ট থাকলে তা স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে আরেক নির্দেশনার মাধ্যমে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তার স্ত্রী শারমিন মুশতারীর অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছে। গত রবিবার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ পরিবারের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করে বিএফআইইউ।