কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলেছে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত চলে গণনা। গতবারের তুলনায় এবার ৫৬ লাখ ৫৪ হাজার ৪৯১ টাকা কম পাওয়া গেছে। পাগলা মসজিদের সিন্দুক খোলা কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজাবে রহমত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ৯টি দানবাক্স খোলা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তরিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ উপস্থিত ছিলেন। সিন্দুকের টাকাগুলো প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। ৯টি দানবাক্সে এবার পাওয়া গেছে ২৮ বস্তা টাকা। পরে দ্বিতীয় তলার মেঝেতে ঢেলে শুরু হয় গণনা। দিনভর গণনা শেষে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত পাওয়া গেছে এ টাকা। এ ছাড়াও পাওয়া যায় বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপার অলঙ্কার। প্রতি তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার খোলা হয়েছে প্রায় চার মাস (১১৯ দিন) পর।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল দানবাক্সে পাওয়া গিয়েছিল ২৭ বস্তা টাকা। সে সময় গণনা করে পাওয়া গিয়েছিল ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা। তখন চার মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। টাকা গণনা কাজে প্রশাসনের কর্মকর্তা ছাড়াও মাদরাসার ২৪৫ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন কর্মী, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নেন। সিন্দুক ছাড়াও প্রতিদিন দান হিসেবে পাওয়া যায় কোরআন শরিফ, হাঁস, মোরগ, গরু, ছাগল, দুধসহ নানা সামগ্রী। এসব সামগ্রী প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করা হয়।