ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর কৃষ্ণাঙ্গ নারী এবং দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস সর্বাত্মকভাবে মাঠে নেমেছেন। তিনি তাঁর প্রচারে নিজের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তুলে ধরছেন। অন্যদিকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রচারযুদ্ধে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরছেন। এরই মধ্যে তাঁকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পের পল্লা ভারী করেছেন রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, ডয়েচে ভেলে, সিএনএন
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ৫ নভেম্বরের ভোট সামনে রেখে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন চূড়ান্ত দৌড়ে নেমেছেন। এদিকে বেশ কিছু জনমত জরিপ অনুযায়ী, জনসমর্থনের দিক দিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কেবল ব্যবধানই কমাচ্ছেন না হ্যারিস, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে তিনি এগিয়েও গেছেন। ডেমোক্র্যাটরা এখন উদ্যম নিয়ে এগোচ্ছেন। ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট নিশ্চিত করার লক্ষ্য তাঁদের। অন্যদিকে ট্রাম্প গত শুক্রবার অ্যারিজোনায় রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রের সঙ্গে প্রচারে অংশ নিয়ে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন। এ অবস্থায় পর্যবেক্ষকরা তাকিয়ে আছেন ১০ সেপ্টেম্বরের দিকে। ওইদিন ট্রাম্প-কমলা মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নেবেন। এ বিতর্কের ফলাফলের ওপর জনমতে বড় রকমের প্রভাব পড়বে।
এদিকে এখন যে প্রচার চলছে তাতে কমলা হ্যারিস বারবার করে ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে ভোটারদের সতর্ক করছেন। তিনি বলছেন, ‘ট্রাম্পের আইনভঙ্গের প্রবণতা এটিই ইঙ্গিত দেয়, পুনরায় নির্বাচিত হলে দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারেন।’ ‘ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের’ প্রতি সমর্থনের কথা জানিয়ে হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করা এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করবেন বলেও জানান কমলা হ্যারিস। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বজুড়ে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়বেন। তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তাঁর অগ্রাধিকারের তালিকায় গাজা, ন্যাটোকে সমর্থন ও মধ্যবিত্তদের কর হ্রাসকে রেখেছেন। কমলা হ্যারিস বলেন, আমি আমেরিকার সব মানুষের জন্য প্রেসিডেন্ট হতে চাই। আরেক খবর অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার অ্যারিজোনার কোচিস কাউন্টিতে প্রচার করতে বের হলে ট্রাম্প আরেক দফা হত্যার হুমকি পেয়েছেন। তিনি যখন আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত ঘুরে দেখছিলেন তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়। পরে অবশ্য এ হুমকিদাতা রোনাল্ড লি সিভরুডকে (৬৬) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি অ্যারিজোনারই বাসিন্দা। বিষয়টি জানতে পেরেই সিভরুডকে গ্রেপ্তার করে মার্কিন পুলিশ।