গণ আন্দোলনের বিজয় যাতে নস্যাৎ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কার প্রয়োজন। এ বিষয়ে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন আয়োজিত ‘জুলাই গণ অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব ও অভ্যুত্থানের স্পিরিট রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন তারা। গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক এবং নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা হচ্ছে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা। একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক ক্ষমতাকাঠামো সংস্কার করতে হবে। আমরা খুবই আশাবাদী, এতবড় আত্মদান এতবড় গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে সুযোগ এসেছে তা অভাবনীয়।
বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সারা দেশে থানা-পুলিশ এখনো পুরোপুরি কাজ শুরু করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা শাসক চাই না, দেশ চালানোর জন্যে চাই জনগণের একজন প্রতিনিধি। যার ক্ষমতা কখনোই গণমানুষের থেকে বেশি না হয়। তাহলেই জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।