এখনো রয়েছে ক্ষতচিহ্ন। দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে আছে বসতঘর। তছনছ ফসলের জমি। কিছু জায়গায় কমেছে পানি। আবার কিছু জমি এখনো পানির নিচে। তবু স্বপ্ন বুনছেন পাহাড়ের বানভাসিরা। শরৎকে কাজে লাগিয়ে চলছে শীতকালীন সবজি চাষ। জলে ভাসা জমিতে চাষাবাদে ব্যস্ত কিষান-কিষানিরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গেল এক মাসের বন্যায় তলিয়ে ছিল রাঙামাটির ছয়টি উপজেলার অর্ধ লাখ মানুষের ভিটেমাটি, দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ধান ও সবজি বাগান। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, লংগদু ও নানিয়ারচর উপজেলায়। সমতল ভূমির চাষিদের ফসলি জমি বিধ্বস্ত হয় বানের পানিতে। তলিয়ে যায় কৃষকের আদা, হলুদ, মরিচ, ধনিয়া, আমন ও আউশ ধানসহ ২ হাজার ৩৬৩ হেক্টর জমি। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৪৮ কোটি টাকারও বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মনহোরি চাকমা বলেন, বন্যায় তলিয়ে যাওয়া জমিতে বীজ লাগিয়ে নতুন স্বপ্ন বুনছি। হাল ছাড়িনি। আবারও চাষাবাদ শুরু করেছি। কপাল ভালো থাকলে শীত মৌসুমে ভালো সবজি হবে। রাঙামাটি সদর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শান্তিময় চাকমা বলেন, আমরা মাঠ পরিদর্শন করেছি। প্রায় জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষকরা ভেঙে পড়েছেন। তাদের বীজ দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে। যাতে তারা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কৃষি কর্মকর্তা তপন কুমার পাল বলেন, কৃষি খাতে ক্ষয়ক্ষতি অনেক। ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে। তবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। যেসব জমিতে পানি কমেছে সেখানে আবারও শুরু হয়েছে ধান চাষ। পাশাপাশি শীতকালীন সবজিও চাষাবাদ শুরু হয়েছে।