বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের মজুমদার রাইসব্র্যান অয়েল মিলের তেলের ট্যাংক বিস্ফোরণে চার শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শ্রমিকরা ট্যাংকির তেলের লাইন মেরামত করার সময় ওয়েল্ডিংয়ের ফুলকি ট্যাংকের মধ্যে পড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
মজুমদার রাইসব্র্যান অয়েল মিলের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ট্যাংকের তেলের পাইপ লাইনে সমস্যার কারণে দুপুরের দিকে মেরামত শুরু করেন কয়েকজন শ্রমিক। মেরামত কাজ করার সময় ওয়েল্ডিং এর আগুনের ফুলকি তেলের ট্যাংকের ভিতরে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি বিকট শব্দ করে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে সাতজন শ্রমিক আহত হন। কারখানার অন্যান্য শ্রমিক ও স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতরা হলেন- নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর পৌরশহরের অফিসার্স কলোনি এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে মো. ইমরান হোসেন (৩২), একই এলাকার সোলায়মান আলীর ছেলে মোহাম্মদ আবু সাঈদ (৩৮), আবদুস সালামের ছেলে মো. মনির হোসেন (২৮) ও রুবেল আহমেদ (৩১)। এ ছাড়া এই ঘটনায় আহতরা জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন থাকায় তাৎক্ষণিক তাদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেডের মানব সম্পদ কর্মকর্তা রঞ্জন চক্রবর্তী জানান, ঘটনার সময় তাদের কোম্পানির ঠিকাদারের সাতজন শ্রমিক রাইচব্র্যান তেল উৎপাদনের কনটেইনার মেরামতের কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ কনটেইনারটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে শ্রমিকরা হাতহত হয়। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ছিলিমপুর) ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) লালন হোসেন জানান, নিহতদের লাশ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
বগুড়া শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম রেজা জানান, তেলের ট্যাংকির পাইপ ওয়েল্ডিং কাজের সময় ট্যাংকির বিস্ফোরণে চার শ্রমিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।