পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বিক্ষোভের মধ্যে হঠাৎ ঢুকে পড়ে মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, ‘আজ আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, বড় দিদি হিসেবে এখানে এসেছি।’ তিনি এও বলেন, ‘আমিও আপনাদের দাবির সঙ্গে একমত। আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাই না। কিন্তু আমি চাই মানুষ বিচার পাক। তিলোত্তমা বিচার পাক। সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পাক।’ এ ঘটনা ঘটে গতকাল আন্দোলনকারীদের ধরনা মঞ্চে। এখানে হঠাৎ এসে মমতা বলেন, ‘আমি আজ এখানে ছুটে এসেছি, তার কারণ আমি আপনাদের আন্দোলনকে কুর্নিশ জানাই, আমি নিজে ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে আসা লোক। আমি নিজেও অনেক সাফার করেছি। আমি জানি আমার পোস্টটা বড় কথা নয়। মানুষের পোস্টটাই বড় কথা।
আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি বিবেচনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মমতা বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে আপনারা অনেক কষ্ট পেয়েছেন। এখন আর কষ্ট না করে কাজে ফিরে যান।
যদি আমার ওপরে আস্থা-ভরসা থাকে, তবে আমি আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, সহানুভূতির সঙ্গে আপনাদের দাবিগুলো ভেবে দেখব, চিন্তা করব। আমি একা সরকার চালাই না। আমি আমার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব। যদি কেউ দোষী হয়, তিনি নিশ্চয়ই শাস্তি পাবেন। তবে বিনা কারণে কাউকে সাজা দেওয়া যায় না।’
আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের ভাইবোন হিসেবে সম্বোধন করে মমতা বলেন, ‘আপনাদের বড় দিদি হিসেবে আমি আজ অনুরোধ করতে এসেছি। আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অনুরোধ করতে আসেনি। হ্যাঁ, আমি মুখ্যমন্ত্রী আছি। আমি একটা দলেরও প্রতিনিধিত্ব করি। আমি আপনাদের আন্দোলনের সমব্যথী। আপনাদের অনুরোধ করব আমার কথা শুনুন।’ একসময় মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে স্লোগান তুলতে থাকেন। এ সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিহত নির্যাতিতার বিচার চাই। আমি চাই দোষীদের যেন তিন মাসের মধ্যে ফাঁসি হয়।’ ওই ধরনা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা দেন কলকাতার আরজি কর হাসপাতালসহ রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিয়ে নতুন করে তৈরি করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ার পর জুনিয়র চিকিৎসকরা পরিষ্কার জানিয়ে দেন, তারা আলোচনায় বসতে চান। কিন্তু তাদের পাঁচ দফা দাবির সঙ্গে কোনোরকম সমঝোতা করবেন না।