ফ্যাসিবাদবিরোধী অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ এবং আহতদের সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। গতকাল জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ, ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ এবং ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ কাজী ওয়াকার আহমদ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, আহতদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং রাজধানীতে একটি স্মারক অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের কাছে চেক হস্তান্তর করা হবে। সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আহতদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেবে। ফাউন্ডেশন আহতদের যে ক্ষতিপূরণ দেবে তা মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসার খরচের বাইরে।
সমাজের সর্বস্তরের মানুষ, প্রবাসী বাংলাদেশি, সংস্থা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে ফাউন্ডেশনে অনুদান দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত কমিটি।
ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অফিস স্পেস এবং স্বেচ্ছাসেবকদের খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সমস্ত ভিডিও, ছবি, মৌখিক ইতিহাস এবং অন্যান্য নথি, স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণ এবং সংরক্ষণাগারভুক্ত করবে। প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সভায় বলেন, যারা সামান্য পরিমাণ অর্থ দেবেন তাদের অনুদানেরও হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে। একই সঙ্গে দানকারীদের তালিকা সংরক্ষণ এবং যদি সম্ভব হয় তাদের নাম ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই ফাউন্ডেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটিকে সফল করতে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।