ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক খবরে বলা হয়েছে, ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে রয়েছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁকে তাঁর দলবল নিয়ে দিল্লির অন্যতম অভিজাত পার্ক লোদি গার্ডেনে ঘুরতেও দেখা গেছে।
১৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, গত মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পালাতে বাধ্য হওয়ার পর থেকে নয়াদিল্লির নৈশভোজের অনুষ্ঠানগুলোতে যে ইস্যুটি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে তা হলো- শেখ হাসিনা এখন কোথায়? শেখ হাসিনার বিষয়ে কিছু বলতে বরারবরই অস্বীকার করছে ভারতীয় সরকার। তবে এটি হাসিনার অবস্থান নিয়ে জল্পনা-কল্পনা বন্ধ করতে পারেনি। লোকজন নিশ্চিত করেই দাবি করছেন, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় সরকারের একটি সেফ হাউসে রয়েছেন; তিনি তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে থাকছেন। সায়মা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিল্লিভিত্তিক পদে আঞ্চলিক চাকরি নিয়েছেন। মেয়েকে নিয়ে শেখ হাসিনাকে দলবলের সঙ্গে দিল্লির অন্যতম সেরা পার্ক লোদি গার্ডেনে ঘুরে বেড়াতেও দেখা গেছে।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, ‘অনেক নেতাই দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যান। শেখ হাসিনাও যদি দেশের বাইরে থাকেন, তবে তাঁকে বাইরে থাকতে দিন। আমরা সবাই চাই বাংলাদেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুক।’ গতকাল রনিল বিক্রমাসিংহের এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছে। সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘এগুলো রাজনৈতিক বিষয়। এটি এমনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যেন দেশ স্থিতিশীল থাকে।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রথমে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আনতে হবে। জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। শেখ হাসিনার বিষয়টি রাজনৈতিক। অনেক নেতাই দেশের বাইরে চলে যান এবং সেখানে বসবাস করেন। আমার কাছে অগ্রাধিকার হলো, বাংলাদেশকে স্থিতিশীল রাখা। দ্রুত স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। সেনাবাহিনীও প্রয়োজন হতে পারে। আমরা সবাই চাই বাংলাদেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুক এবং জনগণ সিদ্ধান্ত নিক কীভাবে দেশ পরিচালিত হবে।’