বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট রাকিবুল আলম চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শ্রমিক অসন্তোষের মূল কারণ আমরা প্রথমে বুঝতে পারিনি। তাদের বিক্ষোভের প্রথম চার দিন কোনো দাবিদাওয়ার কথাও আসেনি। এরপর একে একে শ্রমিকদের যে দাবিদাওয়া আসতে থাকে এগুলো শ্রম আইনের কোনো জায়গায়ই নেই। তাদের কেউ বলে টিফিন বিল বাড়াতে হবে, কেউ বলে ছুটি দিতে হবে। কেউ বলে ৪ ঘণ্টার বেশি কাজ করবে না।
তিনি বলেন, মূলত প্রতিটি সরকার যখন পরিবর্তন হয় তখন কিছুটা অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়। আমাদের খাতে ঝুট নিয়ে সব সময় ঝামেলা চলে। গত ১৫ বছরের বেশি যখন একটি দল ক্ষমতায় ছিল এখন তাদের অনেকেই দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। কেউ সামনে নেই। এখন অন্য একটি গ্রুপ আসবে, এদের সঙ্গে আবার বোঝাপড়ার একটি ব্যাপার আছে। সব মিলিয়ে এক ধরনের অস্থিরতা ছিল। তবে শ্রম খাত ঘিরে অস্থিরতা কেটে যাচ্ছে।
রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, সব সময়ই সুবিধাভোগী কিছু মানুষ থাকে, যারা যে জিনিস হওয়ার না তা প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। নতুন মজুরি ঘোষণা হয়েছে মাত্র কয়েক মাস হলো। এর মধ্যে মজুরি বৃদ্ধির প্রশ্নই আসে না। এবার ৫১ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর মজুরি বোর্ডে প্রথম থেকেই বলা আছে প্রতি পাঁচ বছর পর নতুন মজুরি ঘোষণা করা হবে এবং প্রতি বছর ৫ শতাংশ করে মজুরি বাড়বে। আইন তো আর আমরা পরিবর্তন করতে পারব না। তিনি আরও বলেন, যেখানে কোনো কমপ্লায়েন্স নেই সেখানে কোনো অর্ডার নেই। বায়াররা প্রথমেই এসে শ্রমিকদের সুুযোগসুবিধা দেখে। যেখানে শ্রমিকদের কোনো সুযোগসুবিধা নেই সেখানে কোনো অর্ডার হবে না।