যুক্তরাজ্যে দুই ব্যক্তির মধ্যে প্রেমিকা নিয়ে ঝামেলা চলছিল। শেষ পর্যন্ত এই ঝামেলা খুনের দিকে গড়ায়। হাসিব মজিদ নামের এক ব্যক্তি তার প্রেমের প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ দুরাব খানকে নৃসংশভাবে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। এই বছরের জানুয়ারি মাসে নটিংহামের একটি পেট্রল স্টেশনের সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হাসিব মজিদকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন নটিংহ্যাম ক্রাউন কোর্ট। খবরে বলা হয়েছে, এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম করা নিয়ে হাসিব মজিদ এবং নিহত দুরাব খানের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল। এরই জের ধরে হাসিব মজিদ জানুয়ারি মাসে নটিংহামের একটি টেক্সাকোর গ্যারাজে জঙ্গি স্টাইলে একটি ছুরি দিয়ে দুরাব খানকে আঘাত করে। তার আক্রমণ এতটাই ক্ষীপ্র ছিল যে মাত্র ১৩ সেকেন্ডের মধ্যে মোহাম্মদ দুরাব খানকে সে ১৬ বার ছুরিকাঘাত করে। নটিংহাম ক্রাউন কোর্টে তিন সপ্তাহের বিচারের পর বৃহস্পতিবার ২২ বছর বয়সী মজিদকে কমপক্ষে ২৬ বছরের সাজা দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়।
আদালতের শুনানিতে বলা হয়েছে, ২৬ বছর বয়সী দুরাব খান মজিদের প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে। এর মধ্যে মজিদ আবারও তার বান্ধবীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। তখন থেকেই দুজনের মধ্যে এটা নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। মজিদ জানায়, আগে থেকে দুরাব খান তাকে হুমকি দিয়ে আসছিল। এমনকি সে তার গাড়ি ভাঙচুর করার হুমকি দেয়। তাই ভয় পেয়ে সে আত্মরক্ষায় এমন কাজ করেছে। মজিদ আদালতকে আরও জানায় সে কেবল দুরাব খানকে ভয় দেখানোর জন্য ছুরিটি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করে। কিন্তু দুরাব খান তাকে জোরে আঘাত করার কারণে নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে। তবে তার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন আদালত। মজিদ ১৩ সেকেন্ডের মধ্যে দুরাব খানের বাম বাহু, বাম পা, ঘাড় এবং পিঠে ১৬টি আঘাত করে। এতে গভীর ক্ষত তৈরি হয়। খবর পেয়ে প্যারামেডিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরে দুরাব খান মারা যান।