সম্প্রতি ঢাকা মহানগরীর পাঁচ জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটেছে- এমন তথ্য দিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর কমিশনার মাইনুল হাসানকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। চিঠিতে জুয়েলারি শিল্পের নিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
বাজুস সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়ের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, বাজুস দেশের প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বকারী ঐতিহ্যবাহী, সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন। আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করা, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা এবং দেশি স্বর্ণশিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা করা। এতে আরও বলা হয়েছে, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সুযোগে দুষ্কৃতকারীরা জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান তাদের মূল লক্ষ্যে পরিণত করেছে। এরই মধ্যে ঢাকা মহানগরীর পাঁচটি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া স্বর্ণালংকার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহনের ক্ষেত্রে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা প্রায়ই ছিনতাইসহ প্রশাসনিক হয়রানির শিকার হন, যা এ শিল্পের বিকাশে অন্তরায়। তাই জুয়েলারি শিল্পের বিকাশে বাজুসের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবি জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-জুয়েলারি মার্কেট/প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। জুয়েলারি মার্কেট/প্রতিষ্ঠানের সামনে সার্বক্ষণিক সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্বর্ণ পরিবহনের ক্ষেত্রে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক প্রায়ই হয়রানির শিকার হন। এ ক্ষেত্রে স্বর্ণালংকার পরিবহনের সময় প্রতিষ্ঠানের চালানের কপি, বহনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও বাজুসের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন কোনোরূপ হয়রানি না করে তার যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। বলা হয়, স্বর্ণ একটি মূল্যবান ধাতু। কিন্তু জুয়েলারি দোকানের চুরির ঘটনায় থানাগুলো দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সাধারণ চুরির মামলা হিসেবে গ্রহণ করে। এ আইন পরিবর্তন করা জরুরি। সম্প্রতি রাজধানীর রামপুরায় মোল্লা টাওয়ারের দি মনিকা জুয়েলার্স ও সুলতানা জুয়েলার্স, মোহাম্মদপুর টোকিও স্কয়ার মার্কেটের নিউ আনাস জুয়েলার্স, মিরপুর-১০-এ এফএস স্কয়ার শপিং কমপ্লেক্সের আবান গোল্ড ও স্পার্কেল জুয়েলার্সে চুরির ঘটনায় চুরিকৃত সোনার অলংকার ও নগদ টাকা উদ্ধার এবং এ ঘটনায় জড়িত চোরচক্রকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।