পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিরতা ফেরাতে সম্মিলিত রাজনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। গতকাল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, পার্বত্য জেলার নিরীহ বাঙালি ও উপজাতি সবাই আমাদের ভাইবোন। সবাই বাংলাদেশি। নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর শেখ মুজিব কর্তৃক ‘বাঙালি পরিচয়’ অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার হঠকারিতা থেকেই পাহাড়ে অশান্তি শুরু। কিন্তু পরবর্তীতে মরহুম জিয়াউর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় পরিচয় হিসেবে বাংলাদেশি জাতীয়তা গৃহীত হওয়ার মধ্য দিয়ে পার্বত্য জেলার উপজাতিরা আত্মপরিচয়ের সংকট থেকে মুক্তি পায়। আমাদের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিকের নৃতাত্ত্বিক পরিচয় স্বীকার করার পাশাপাশি কোটাব্যবস্থার মাধ্যমে পাহাড়ি উপজাতিদের দেশের মূলধারার জনসমাজের সঙ্গে সংযুক্ত করারও ব্যবস্থা করেছে। অথচ পাহাড়ি বাঙালিরা সুবিধাবঞ্চিত সত্ত্বেও কোনো কোটা সুবিধা তাদের দেওয়া হয় না।
তারা বলেন, আমাদের পাহাড়ে আদিবাসী বলে কিছু নেই। তরুণ প্রজন্মের জানতে হবে, ইতিহাসের রেকর্ড অনুসারে প্রায় ২৫০-৩০০ বছর আগে পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসী এই ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলো বার্মা, ভারতের সেভেন সিস্টার্স ও আশপাশের অঞ্চল থেকে এসে বসতি গড়েছে।
১৯৯৭ সালে উপজাতি হিসেবেই তাদের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তাছাড়া পার্বত্য অঞ্চল কখনো বাঙালিদের ‘উপনিবেশ’ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়নি। ফলে কোনো দিক থেকেই তাদের আদিবাসী বলার যৌক্তিকতা দাঁড়ায় না। কিন্তু দেশের কিছু এনজিও এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ‘আদিবাসী’ প্রচারণায় তৎপর রয়েছে। এ দেশের সেনা-জনতা বাংলাদেশবিরোধী এ ধরনের ষড়যন্ত্র কখনো বাস্তবায়িত হতে দেবে না ইনশাআল্লাহ। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিরোধী যে কোনো চক্রান্ত আমরা সর্বশক্তি দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।