লেবাননে ইসরায়েলের তান্ডব চলছে। ধারাবাহিক হামলায় বিধ্বস্ত দেশটি। এরই মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২ জনে। আর মোট প্রাণহানির সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) আরবের কয়েকটি দেশ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও, তা প্রত্যাখ্যান করেছে নেতানিয়াহু। উল্টো সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এক সপ্তাহ ধরে বিরতিহীন হামলা চলছে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত এলাকায়। প্রথমে নিয়ম করে দু-একবার হামলা হলেও গত কয়েক দিনে বেড়েছে হামলার ভয়াবহতা। ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দমনের কথা বললেও ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ হারাচ্ছেন বহু বেসামরিক বাসিন্দা।
এদিকে, জীবন বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছেন প্রায় ৮০ হাজার বাসিন্দা। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ। অন্যদিকে হার মানতে রাজি না হিজবুল্লাহও। ইসরায়েলের কঠিন অভিযানের পরও তারা গোষ্ঠীটির গোপন ঘাঁটি খুঁজে পেতে সক্ষম হয়নি। তার ওপর ইসরায়েলের ভিতরে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র-রকেট হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এমনকি তেলআবিবের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলের এমন বর্বরতায় গোটা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। কিন্তু কারও কথার তোয়াক্কা না করে আরও শক্তিশালী হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।
নিজেদের নাগরিকদের লেবানন ছাড়তে বলল জাপান : লেবাননে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। এতে প্রাণহানির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইসরায়েলি স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালাচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠনটিও। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশই নিজেদের নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে। এবার সে তালিকায় যুক্ত হয়েছে জাপানও। জাপানের প্রধানমন্ত্রী পরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি জানিয়েছেন, লেবাননে বসবাস করা জাপানি নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা যাচাই করছি। পাশাপাশি নাগরিকদের দেশটি ছাড়ার আহ্বান জানাচ্ছি। তাছাড়া জাপানের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জর্ডানে একটি সামরিক প্লেন পাঠানোর পরিকল্পনা করছে জাপান সরকার। সেখান থেকে লেবাননে আটকে পড়াদের নিয়ে আসা হবে। এর আগে বিশ্বের অসংখ্য দেশ নিজেদের নাগরিকদের লেবানন সফরের ব্যাপারে সতর্ক করে ও দেশটি ছাড়ার আহ্বান জানায়। যার মধ্যে অন্যতম হলো ইতালি, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়া। আল-জাজিরা