খুলনার ডুমুরিয়ায় এক নারীকে ধর্ষণ ও হাসপাতাল থেকে তাকে অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও খুলনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ ও রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গতকাল ভুক্তভোগী বাদী হয়ে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ অভিযোগ দায়ের করেন। বিচারক আ. ছালাম খান অভিযোগ আমলে নিয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এজাহারে বলা হয়, গাজী এজাজ আহমেদ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই যুবতীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করেন। ২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে পুনরায় ধর্ষণ করে তাড়িয়ে দিলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় নারায়ণ চন্দ্র চন্দ তার অনুসারী এজাজ আহম্মেদকে বাঁচাতে প্রভাব বিস্তার করে যুবতীর চিকিৎসা সমাপ্ত না করে ওসিসি থেকে তাকে রিলিজ করানোর ব্যবস্থা করেন। ২৮ জানুয়ারি বিকালে হাসপাতাল চত্বর থেকে মাইক্রোবাসে করে যুবতী ও তার মাকে অপহরণ করা হয়। পরে রাতে খুন ও জখমের হুমকি দিয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় এনে তাকে অপহরণ করা হয়নি মর্মে মিথ্যা বক্তব্য দিতে বাধ্য করে। পরে আবারও যুবতীকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখলে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, ২৮ জানুয়ারি হাসপাতাল চত্বর থেকে ওই যুবতীকে অপহরণের পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদকে আটক করে। কিন্তু প্রভাব বিস্তার করে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ থানা থেকে তাকে ছেড়ে দিতে পুলিশকে বাধ্য করেন। নারায়ণ চন্দ্র চন্দের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে অন্য আসামিরা এলাকায় নারী ধর্ষণ, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করে।