কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্তার হচ্ছে অপরাধের শাখাপ্রশাখার। খুন-গুম, মাদক ব্যবসার পাশাপাশি চুরি, সিগারেট চোরাচালান ও মোবাইল ফোনের সিমের অবৈধ কারবারসহ নতুন নতুন অপরাধ যুক্ত হচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থারগুলোর অপরাধ পরিসংখ্যানে। যদিও প্রশাসনের দাবি-সব অপরাধকে সমান দৃষ্টিতে দেখেই তা বন্ধে নেওয়া হচ্ছে কার্যকর পদক্ষেপ।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-৮ এর একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ক্যাম্পের সোলার লাইট চুরি এবং সিগারেট পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আমরা পাই। এ ধরনের অভিযোগগুলোর ক্ষেত্রেও আমরা দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করি।’ তিনি বলেন, ক্যাম্পে অবৈধ মোবাইল ফোন সিম বিক্রি বন্ধে চাইলেও কোনো সংস্থা এককভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না। এ জন্য সব সংস্থার সমন্বয়ে একটা উদ্যোগ প্রয়োজন।
জানা যায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেওয়া ৩৪ শরণার্থী ক্যাম্প পরিণত হয়েছে অপরাধের আখড়া হিসেবে। খুন, মাদক ব্যবসা, অপহরণ এবং মারামারি ক্যাম্পে নিত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এসব অপরাধের নেপথ্যে রয়েছে ছোট বড় অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ। অপরাধের শাখা-প্রশাখার বিস্তারের তথ্য উঠে এসেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অপরাদ পরিসংখ্যানেও। যার মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপ্রচলিত অপরাধ নিত্যনতুন যোগ হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে- চুরি মামলা, জাল টাকা বিস্তার, অবৈধ সিগারেট পাচার, অবৈধ ভাবে মিয়ানমারের মোবাইল ফোনের সিম বিক্রি, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা, রোহিঙ্গা মানব পাচার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা অন্যতম। এ বিষয়ে কথা হয় রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের একাধিক অধিবাসীর সঙ্গে। তারা নাম প্রকাশ না করার বিএসইসির কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। আবারও দরপতনের শঙ্কা পেয়ে বসে বিনিয়োগকারীদের। তবে লেনদেনের শেষদিকে দাম কমার তালিকা থেকে দাম বাড়ার তালিকায় চলে আসে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। ফলে একদিকে দাম বাড়ার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে মূল্যসূচক বেড়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়। তবে লেনদেন তলানিতেই থাকে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ২০৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৮টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৫০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৪০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ১২৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সব থেকে কম লেনদেন হলো।
শেয়ারবাজারে দরপতনের প্রতিবাদে গতকাল মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পুরাতন ভবনের সামনে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ মানববন্ধন করেন। এরপর তারা আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনের সামনে আসেন। বিনিয়োগকারীদের দাবি, বিএসইসি চেয়ারম্যান না বুঝে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। যার কারণে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তার পদত্যাগ খুবই জরুরি। যার কোনো বিকল্প নেই। বিনিয়োগকারীরা বিএসইসি ভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ করেন। এতে রাস্তায় যানজট তৈরি হয়।