চুয়াডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে বারোমাসি শরিফা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। শরিফা ফল অত্যন্ত সুস্বাধু হওয়ায় এর চাহিদাও বেশি। ফলে উচ্চমূল্যের শরিফা চাষে আগ্রহী হচ্ছে অনেক কৃষক। অল্প পরিচর্যায় শরিফার উৎপাদন হওয়ায় অনেকেই অন্য চাষের পাশাপাশি শরিফা চাষ করছেন। ২০০৯ সালে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রায়পুর গ্রামে ৩ বিঘা জমিতে থাই জাতের বারোমাসি শরিফা বাগান করেন সাদ্দাম হোসেন। কয়েক বছরের মধ্যেই সফলতার মুখ দেখেন তিনি। তার সফলতা দেখে জেলার অনেকেই শরিফার বাগান করছেন। তরুণ উদ্যোক্তারা এ থেকে সফলতাও পাচ্ছেন। কৃষি বিভাগের মতে, শরিফা সুস্বাধু ও পুষ্টিকর ফল হওয়ায় এর চাহিদা অনেক বেশি। প্রতিটি গাছে ২০-৫০ কেজি পর্যন্ত শরিফা পাওয়া যায়। প্রতি কেজি শরিফা বিক্রি হয় আকার ভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এর চাহিদা রয়েছে। সুপারশপ, ফলের মার্কেট ও স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় শরিফা। সাধারণত উঁচু জমিতে শরিফার চাষ ভালো হয়। শরিফা গাছ বুনো প্রজাতির হওয়ায় অল্প পরিচর্যাতেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। শরিফা চাষি সাদ্দাম হোসেন বলেন, শরিফা চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা। খরচ অনেক কম। পরিচর্যা নেই বললেই চলে। প্রতি বিঘা জমিতে ১০০-১২০টা গাছ লাগানো যায়। গাছ লাগানোর এক বছর পরই ফল আসতে শুরু করে। বছরে প্রায় নয় মাস গাছ থেকে ফল পাওয়া যায়। এক বিঘা জমিতে ১৫ মণ পর্যন্ত শরিফা পাওয়া যায়। এতে বিঘাপ্রতি বছরে অন্তত ৫ লাখ টাকার শরিফা পাওয়া যায়।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, শরিফা একটি অপ্রচলিত ফসল। এটি উচ্চমূল্যের একটি ফল। বাজারে দাম বেশি। শরিফা চাষে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শরিফা চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।