ভারতের ছত্তিশগড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩১ জন মাওবাদী সদস্য নিহত হয়েছে। গতকাল রাজ্যটির দান্তেওয়াড়া জেলার অবুঝমার এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী ও মাওবাদীদের সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ২৪ বছর আগে ছত্তিশগড় রাজ্য গঠনের পর থেকে একটি মাত্র অপারেশনে এটি অন্যতম একটি বড় ও সফল অভিযান।
পুলিশ জানিয়েছে গোপন সূত্রে মাওবাদীদের জমায়েত হওয়ার খবর পেয়ে, দান্তেওয়াড়া এবং নারায়ণপুর থেকে স্পেশাল ট্রাস্ট ফোর্স (এসটিএফ) এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি)-এর প্রায় ১ হাজার জন সদস্য অভিযানে লাগানো হয়। উল্লেখ্য ছত্রিশগড়ে মাওবাদীদের দমনে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসটিএফ ও ডিআরজি- এ দুই নিরাপত্তা সংস্থা। পুলিশের আইজি (বাস্তার রেঞ্জ) সুন্দররাজ পি জানিয়েছেন এ অভিযানে বন্দুকযুদ্ধ চলার সময় গ্রেনেডশেল ফেটে ডিআরজির এক সদস্য আহত হয়েছেন। রাজ্য পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে এ অভিযান শুরু হয়। আমাদের কাছে খবর ছিল পূর্ব বাস্তার ডিভিশন থেকে ‘কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া’ (মাওয়িস্ট) এবং ‘পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি’ (পিএলজিএ) নামে তাদের ৬ নম্বর কোম্পানির সশস্ত্র বাহিনীর লোকজন জড়ো হয়েছিল। তারা সংখ্যায় অন্তত ৫০ জনের বেশি ছিল। এদের মধ্যে দন্ডকারণ্য স্পেশাল জোন কমিটি মেম্বার কমলেশ, পিএলজিএ কমান্ডার নান্দু, নীতি, সুরেশ সালামসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ মাওবাদী নেতা উপস্থিত ছিলেন।’ এ অভিযানে যৌথ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে একে-৪৭, এসএলআর, ইনসাস রাইফেল, এলএমজি এবং ৩০৩ রাইফেল উদ্ধার করেছে। দান্তেওয়াড়া জেলার পুলিশ সুপার গৌরব রায় জানান ‘শুক্রবার বিকালের দিকে জেলা সদর শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে গোভেল, নন্দুর এবং তুলতুলি- এ তিনটি গ্রামের ঘন জঙ্গলের মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে প্রবল সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই তিনটে গ্রামই অবুঝমার সেক্টরের মধ্যে অন্তর্গত। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরে বিভিন্ন অভিযানে রাজ্যটির বাস্তার রিজিয়নে এখনো পর্যন্ত ১৮৫ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন ভারতের লক্ষ্য ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশকে মাওবাদী মুক্ত করা।