ফেনী-৩ আসনের সাবেক এমপি ও জেদ্দা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. হাজী রহিম উল্লাহ ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে রহিম উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২-এর সদস্যরা।
এ ছাড়া ভারতে পালানোর সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত এলাকা থেকে যুগ্ম সচিব কিবরিয়া মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়, গত ৫ আগস্ট ফেনীর সোনাগাজী থানার দাঙ্গা ও হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রহিম উল্লাহ। এ ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সোনাগাজীতে টমটম চালক জাফর আহাম্মদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি তিনি।
জানা গেছে, রহিম উল্লাহ ২১ বছর সৌদি আরবের জেদ্দা প্রবাসী শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফেনী-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
বিজিবি সূত্র জানায়, কিবরিয়া মজুমদারের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কোমরকড়ায়। তিনি ঢাকার সবুজবাগ থানার বাসাবো দক্ষিণগাঁয়ে থাকতেন এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে যুগ্ম সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের আওতাধীন কসবা সালদা নদীর বিওপির টহল দল তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে কসবা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মো. সুজন নামে এক যুবক হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ও মোহাম্মদপুর এলাকার যুবলীগ নেতা নূরনবীকে শেরেবাংলা নগর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২।