সরকারের তিন মন্ত্রণালয় ও চার বিভাগে বর্তমানে কোনো সচিব নেই। এসবে দায়িত্ব পাওয়া অতিরিক্ত সচিবরা দায়িত্ব চালিয়ে নিচ্ছেন। অন্যদিকে সাত জেলায় নেই জেলা প্রশাসক (ডিসি)। সচিব নেই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ে। চার মন্ত্রণালয়ের চার বিভাগে নেই সচিব। সেগুলো হলো- পরিকল্পনা বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ। আর জেলা প্রশাসক নেই রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, জয়পুরহাট, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, দিনাজপুর ও কুষ্টিয়ায়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, সচিব ও ডিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ এসব শূন্য পদ পূরণের কোনো জোর তাগাদাও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নেই। ‘যোগ্য’ কর্মকর্তা বাছাই ও পদায়নের কাজে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোথাও কাউকে দিলেও আবার পরক্ষণেই আদেশ বাতিল করার ঘটনাও ঘটছে।
গত ৮ আগস্ট বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সচিব পদে বড় ধরনের রদবদল আনা হয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বঞ্চিত পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তাকে কয়েক ধাপে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। তাদের পদায়নও করা হচ্ছে।
জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ২২জন সচিব এখনো বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। নতুন করে সচিব দেওয়া হয়েছে ২৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে। ৮ আগস্টের পর সিনিয়র সচিব ও সচিব পদে থাকা ১৭ জনের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। আর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে ওএসডি করা হয়েছে ১৫জনকে। তাদের মধ্যে পাঁচজন সিনিয়র সচিব আর ১০জন সচিব।
এ ছাড়া সচিব পদমর্যাদায় চুক্তিতে বিভিন্ন স্থানে কাজ করা আরও ১৮জনের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া গ্রেড-১ ভুক্ত এবং অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের বেশকিছু কর্মকর্তাকে ওএসডি করে রাখা হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন স্তরের আড়াই শতাধিক কর্মকর্তাকে ওএসডি করে রাখা হয়েছে।
সিনিয়র সচিব, সচিব এবং অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার এত কর্মকর্তাকে একসঙ্গে এর আগে কখনো ওএসডি করে রাখা হয়নি। ক্ষমতার পালাবদলের পর গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোতে আগের সরকারের নিয়োগপ্রাপ্তদের ওএসডি করায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের শীর্ষ পদ ফাঁকা রয়েছে।