যুক্তরাষ্ট্রের বাফেলোয় প্রকাশ্যে গুলি করে বাংলাদেশি বংশো™ভূত রওনক হাসান রিটন (২০) নামের এক তরুণকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার তিন দিনেও সেই ঘাতক গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
নিহত তরুণের বাবা আতাউর রহমান লিটনসহ স্বজনরা মনে করছেন, এটি ধর্ম ও জাতিগত বিদ্বেষমূলক হামলা। অপরদিকে বাফেলো সিটি সংলগ্ন চিকটোয়াগা পুলিশের প্রধান ক্যাপ্টেন জেফরি স্মিডট জানান, তদন্তের পরই নিশ্চিত করা যাবে হত্যার মোটিভ। ক্যাপ্টেন জেফরি সবাইকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানিয়ে তদন্তে এবং দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে সহযোগিতার আহ্বান করেছেন। নিউইয়র্ক সিটি থেকে ৩৭৭ মাইল দূর নিউইয়র্ক স্টেটের বাফেলোয় বাংলাদেশিদের নতুন বসতিস্থল বাফেলোর সিডার রোডে গত শনিবার বিকাল ৫টায় কলেজগামী তরুণ রিটনকে হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায়। গুলিবিদ্ধ করার পরই দুর্বৃত্ত তার গাড়ি চালিয়ে ওই স্থান ত্যাগ করেছে বলে জানায় রিটনের সঙ্গে থাকা সহপাঠী হামেদ লতিফ। রিটনের বাবা আতাউর রহমান লিটন গণমাধ্যমকে বলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে রিটন মারা গেছে, এটা আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। কারণ, রিটন খুবই শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিল। কারও সঙ্গে তার কোনো বাজে সম্পর্ক থাকতে পারে না। আমি বুঝতে পারছি না কে এবং কেন তাকে গুলি করল? আমি ন্যায়বিচার চাই। রিটনের এই অকাল মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না প্রবাসীরা।
শনিবার ও রবিবার তারা বিভিন্ন স্থানে মিলিত হয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন পুলিশি আচরণে। প্রবাসীরা অভিযোগ করছেন, রিটনকে গুলি করার পর দুর্বৃত্ত নিজেই পুলিশের জরুরি ফোন নম্বর-৯১১ এ ফোন করেছে এবং গাড়ি চালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছে। এ সত্ত্বেও কেন তাকে আটক করা সম্ভব হচ্ছে না? জানা গেছে, বাফেলো একটি পরিত্যক্ত এলাকা ছিল। সেখানকার আফ্রিকান-আমেরিকানরা অন্যত্র পাড়ি জমিয়েছেন অসহনীয় শীত পড়ায়। জরাজীর্ণ বাড়ি খুবই স্বল্প দামে ক্রয়ের পর তার সংস্কার করে নিউইয়র্ক থেকে ৩৫ হাজারের অধিক বাংলাদেশি সেখানে বসতি গড়েছেন। কয়েক মাস আগেও নিজের বাসায় কাজের সময় আরেকজন প্রবাসীকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় বাফেলোর প্রবাসীরা স্বস্তিতে নেই। রিটনের নামাজে জানাজা সোমবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোররাত ৩টা) বাফেলো মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠানের পরই দাফন করা হবে বলে স্বজনরা জানান।