ভোক্তা পর্যায়ে ডিম-মুরগির দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে দ্বিতীয় দফায় দাম পুনর্নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার। কিন্তু এবারও ডিম-মুরগি আগের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। এ বিষয়ে ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না কিছুই। বেশি দামে বিক্রির কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলছেন, সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রির মতো কোনো অবস্থা আমাদের নেই। এ বিষয়ে জানতে বড় আড়তদারদের কাছে যান। আমরাই বাড়তি দামে তাদের কাছ থেকে কিনে আনি। তাই খুচরা বাজারেও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
গতকাল রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ ডিমের পাইকারি আড়ত কাপ্তান বাজার ও রাতে তেজগাঁও বাজার ডিমের আড়তে ডিমের বিভিন্ন উৎপাদক ও সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে সরকার নির্ধারিত যৌক্তিক মূল্যে (উৎপাদক পর্যায়ে ১০.৫৮ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ১১.০১ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১.৮৭ টাকা) পাইকারি পর্যায়ে উৎপাদক হতে সরাসরি ডিলারদের কাছে ডিম বিক্রয় কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারেও গত সপ্তাহের তুলনায় ডিমের দাম কিছুটা কমলেও মুরগির বাজার বাড়তি রয়েছে। দাম বাড়তি থাকায় বিপাকেই পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সরকার নির্ধারিত দামের সঙ্গে বাজারের দাম না মেলার কারণে হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা।
গতকাল রাজধানীর খিলক্ষেত বাজারের ডিমের আড়তে দেখা যায়, ডজনপ্রতি ডিম ১৭০-১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে প্রতিটি ডিমের দাম পড়ছে ১৪ দশমিক ১৬ টাকা থেকে শুরু করে ১৪ দশমিক ৫৮ টাকা। যদিও সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী প্রতিটি ডিম ১১ দশমিক ৮৭ টাকায় বিক্রির কথা ছিল। সে হিসাবে ডজন হওয়ার কথা ১৪২ দশমিক ৪৪ টাকা। ডিমের দাম আরও বেশি বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে। এসব দোকানে ৬০ টাকা হালি ডিম বিক্রি করা হচ্ছে। এতে প্রতি পিস ডিমের দাম পড়ছে ১৫ টাকা। এ ছাড়া আড়তে সাদা ডিম ডজন ১৭০, হাঁসের ডিম ডজন ২২০ টাকা। অন্যদিকে দ্বিতীয় দফায় ব্রয়লার মুরগির খুচরা পর্যায়ে ১৭৯ দশমিক ৫৯ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৬৯ দশমিক ৬৪ টাকা দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার।
তবে বাজারে এই দামে কোনো ব্রয়লার মুরগি পাওয়া যায়নি। দোকানিরা ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা এবং লেয়ার মুরগি ৩৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। গত মঙ্গলবার উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিমের নতুন দাম পুনর্নির্ধারণ করে দেয় সরকার। যা পরের দিন বুধবার থেকে সারা দেশে কার্যকর হওয়ার কথা।