সঠিক জায়গায় তদারকি না করে শুধু কয়েকটা বাজারে গিয়ে লোকদেখানো তদারকি চালানো হয়। তাইতো বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। গতকাল এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে ডিম, ব্রয়লার মুরগি, পিঁয়াজ, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর মহাসচিব মো. আলমগীর, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের পরিচালক ড. ঊর্মি বিনতে সালাম, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রহমান, শ্যামবাজার কৃষি পণ্য আড়ত বণিক সমিতির সহসভাপতি হাজী মো. মাজেদ, কারওয়ান বাজার পাইকারি কাঁচাবাজার আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান চৌধুরীসহ ব্যবসায়ী নেতারা। জাকির হোসেন বলেন, সরকারি সংস্থার অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। তারা সঠিক জায়গায় তদারকি করে না। শুধু কয়েকটি বাজারে গিয়ে লোকদেখানো তদারকি চালানো হয়। ডিমের অস্থির বাজার প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক জালাল উদ্দীন বলেছেন, আমন্ত্রণ জানানো সত্ত্বেও ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত নেই। এতে বোঝা যায়, ডিম উৎপাদকদের মধ্যে ঝামেলা আছে।
এদের না ধরে ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা শুধু খুচরা পর্যায়ে অভিযান চালান। ফলে অস্থিরই থেকে যায় বাজার। সভায় উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যাপ্ত সরবরাহ করলে আজ থেকে খুচরা পর্যায়ে ৪৮ টাকা হালি ডিম বিক্রি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ। তিনি বলেন, তেজগাঁও আড়তে দৈনিক ডিমের চাহিদা ২০-২৫ লাখ পিস। বিপরীতে করপোরেট কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ১০ লাখ ডিম। উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যাপ্ত সরবরাহ করলে শুক্রবার প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করা যাবে ১৫০ টাকায়।