গত সেপ্টেম্বর মাসে দেশে ৪৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৯৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে ৫১ জন শিক্ষার্থী ও ১২ জন শিক্ষক। এ ছাড়া গত মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৯৭৮ জন। গতকাল প্রকাশিত বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৯২টি। এতে নিহত ১৯৫ হন, আহত হয়েছেন ১৪৯ জন। এ সংখ্যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৯৪। রেলপথে ৪০টি দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত ও চারজন আহত হন।
নৌপথে ১৪টি দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত, ৫৬ জন আহত এবং ৪৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৫৪৭টি দুর্ঘটনায় ৫৫৪ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩৮ জন আহত হন। মোট দুর্ঘটনার ৪৫ দশমিক ২৩ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। সেপ্টেম্বরে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বরিশাল বিভাগে।
সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ১০৯ জন চালক, ৮৭ জন পথচারী, ৪৯ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫১ জন শিক্ষার্থী, ১২ জন শিক্ষক, ৬৮ জন নারী, ৫৬ জন শিশু, দুজন চিকিৎসক এবং আটজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী। এ সময় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার ৭৯২টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা গেছে, ২৭ দশমিক ৫২ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ বাস, ১৫ দশমিক ১৫ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ নসিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস। মোট দুর্ঘটনার ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়া, ৫ দশমিক ৭ শতাংশ অন্যান্য কারণ এবং শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ ট্রেনের সঙ্গে যানবাহনের সংঘর্ষ।