হজ প্যাকেজ ৪ লাখ টাকা করাসহ কোরবানির চামড়া ১২০ টাকা করার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিল। একই সঙ্গে সরকারিভাবে হজ গাইড নিয়োগে কওমি আলেমদের প্রতি বৈষম্য নিরসন ও পবিত্র রমজান মাসে মজুতদারি, কালোবাজারি বন্ধ ও নিত্যপণ্যের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
গতকাল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবিরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ধর্ম উপদেষ্টার বাসভবনে গিয়ে তার কাছে এ স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।
বিশ্বের কয়েকটি দেশের হজ প্যাকেজের উদাহরণ তুলে ধওে স্মারকলিপিতে বলা হয়, হজের সময় যাত্রীদের কাছ থেকে বিমানভাড়া বাবদ ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ওপর জুলুম করা হয়েছে। যৌক্তিক ভাড়া ৭০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা উচিত। পৃথিবীর কোনো দেশ হজ মৌসুমে উড়োজাহাজ ভাড়া বাড়ায় না, উল্টো ছাড় দেয়। ব্যতিক্রম বাংলাদেশ বিমান। তারা হজ মৌসুম এলেই বিমান ভাড়া বাড়িয়ে ব্যবসা করে। এতে বলা হয়, হজের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয়ভাবে অপ্রয়োজনীয় খরচ ও রাষ্ট্রের টাকায় হজ করানো বন্ধ করা এবং প্রয়োজনে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দিয়ে হলেও হজের খরচ ৪ লাখ টাকায় পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। এতে সরকারিভাবে হজ গাইড নিয়োগের ক্ষেত্রে কওমি মাদরাসায় শিক্ষিত অভিজ্ঞ আলেমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, এক্ষেত্রে এখন থেকে তারা যাতে বৈষম্যের শিকার না হন সে জন্য উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।