রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ত্রিলোচনপুর কাজীবাড়ী জামে মসজিদে মাইক ব্যবহার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন। গতকাল ভোরে উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের ত্রিলোচনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
থানায় অভিযোগ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর ধরে মসজিদে ইমামতি করে আসছেন ত্রিলোচনপুর গ্রামের কাজী নুরুল কাইয়ুম। বিভিন্ন সময় তিনি ফতোয়া দেন মসজিদে মাইকে আজান দেওয়া যাবে না। তার সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে গত ৬ সেপ্টেম্বর একটি নতুন মাইক স্থাপন করা হয়। এরপর স্বেচ্ছায় মসজিদ থেকে চলে যান ইমাম নুরুল কাইয়ুম।
গতকাল ভোরে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিমসহ মাইক লাগানোর পক্ষের মুসল্লিদের ওপর হামলা করেন ১৫ থেকে ২০ জন মুসল্লি। হামলার পর মসজিদের মাইকের ব্যাটারি, মাইক সেট ও লাইট ভাঙচুর করা হয়। মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম বলেন, কাজী নুরুল কাইয়ুম ৩০ বছর ধরে মসজিদের ইমাম ছিলেন। তিনি ফতোয়া দিয়েছেন মসজিদে মাইকে আজান দেওয়া জায়েজ না, মাইকে আজান দিলে কাফের হয়ে যাবে। পরবর্তীতে গ্রামবাসী মসজিদে মাইক ব্যবহার শুরু করেন। এরপর থেকেই তিনি মুসল্লিদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেন। গতকাল ফজরের নামাজের পর লাঠিসোঁটা নিয়ে কাইয়ুমসহ বেশ কয়েকজন আমাদের ওপর হামলা করেন। অন্যদিকে কাজী নুরুল কাইয়ুম বলেন, মসজিদটি প্রায় ৮০ বছরের পুরাতন। দীর্ঘ সময় মাইক ছাড়াই আজান ও নামাজ হচ্ছে এখানে। আমি ৩৫ বছর বিনা বেতনে ইমামতি করেছি। তিলে তিলে মসজিদ দ্বিতল ভবন করেছি। দীর্ঘ ৮০ বছর মাইক না থাকলেই হঠাৎ মাইক স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন কয়েকজন। এরপর তারাই আমাদের ওপর হামলা করেন।
বালিয়াকান্দি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. আল আমিন বলেন, মসজিদের সাধারণ সম্পাদক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলা রেকর্ড হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।