৩০ নভেম্বর, ২০১৫ ০৮:৪৬

কেন হয় অ্যালার্জি ও সর্দি

অনলাইন ডেস্ক

কেন হয় অ্যালার্জি ও সর্দি

সাধারণত যারা বেশি পরিমাণে ঘরের বাইরে থাকেন তাদের মধ্যে সর্দি বা এলার্জির পরিমাণ বেশি লক্ষ্য করা যায়। তবে ঘরের ভেতরে অনেক বস্তু রয়েছে যেগুলো কারো মধ্যে এলার্জি বা সর্দির উদ্রেক করতে পারে। নিচে তেমনই কয়েকটি বস্তু বা উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হলো :  
সুগন্ধি মোমবাতি : ভাবতেও পারেননি যে শখের সুন্দর গন্ধের মোমবাতির কারণে আপনার সর্দি লেগে যায়। ২০১১ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, রুম স্প্রে বা সুগন্ধি মোমবাতি শ্বাসযন্ত্রে অ্যালার্জির কারণ। এদের শক্তিশালী গন্ধ নাসারন্ধ্রে বিরক্তির উদ্রেক করে। এর থেকে মুক্তি পেতে ঘরের জানালা কিছুক্ষণ খুলে রাখুন। এমনকি কাপড় ধোয়ার সাবান বা ডিটারজেন্টের গন্ধেও সর্দি হয়।
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার : ঘরের ধুলাবালি দ্রুত পরিষ্কার করতে অনেক গৃহিণীই ভ্যাকুম ক্লিনার পছন্দ করেন। কিন্তু পরিষ্কারের পর যে ধুলা-ময়লা এর ভেতরের ব্যাগে জমা পড়ে, তা আবারও ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে। তাই ব্যাগের এক-তৃতীয়াংশ ভরে গেলেই ময়লা ফেলে দেওয়া উচিত। এ ছাড়া ক্লিনারের এইচইপিএ ফিল্টারটি প্রতি ছয় মাস অন্তর বদলানো প্রয়োজন।
ভাঙা জানালা : জানালা দিয়ে অনায়াসে ঠাণ্ডা বাতাস ঘরে ঢুকে পড়ে। এ বাতাস নাসারন্ধ্র ও নাকের সঙ্গে যুক্ত স্নায়ুতন্ত্রে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। ফলে সর্দি লেগে যায়।
ফুলের তোড়া : কিছু ফুলের রেণু বাতাসে ভেসে বেড়ায়, যা নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে। অনেকের জন্য এসব রেণু অ্যালার্জি তৈরি করে। ফল সর্দি। কোন ধরনের ফুলে এ সমস্যা হতে পারে তা খেয়াল করে দেখুন।
নরম পুতুল : বাচ্চাদের জন্য তুলো ঠাসা নরম ভালুক বা অন্যান্য পুতুল অনেক ক্ষেত্রেই সর্দির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এগুলোর সংস্পর্শে থাকলে অদৃশ্য তন্তু নাকে ঢুকে পড়ে এবং সর্দি লেগে যায়। এ ছাড়া এসব পুতুলে প্রচুর ধুলাবালি আটকে থাকে। তাই কয়েক মাস পর পর পরিষ্কার করা উচিত।
রৌদ্রোজ্জ্বল ঘর : ঠাণ্ডা বাতাসের মতো অতিরিক্ত রৌদ্রোজ্জ্বল ঘর সর্দির কারণ হয়।
ব্যায়াম : অবাক হলেও জেনে নিন, ব্যায়াম করতে গেলে অনেকেরই সর্দির সমস্যা শুরু হয়। এ অবস্থাকে বলে ‘এক্সারসাইজ-ইনডিউসড রাইনিটিস (ইআইআর)’। ২০০৬ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, নাসাল অ্যালার্জিতে আক্রান্তদের ব্যায়ামের সময় সর্দি হতে পারে। এতে চুলকানিও হয়।
বাথরুমের ম্যাট : ওয়াশ রুমের ভেতরে বা বাইরে রাখা ম্যাট সব ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের আবাসস্থল। প্রতি সপ্তাহে এই ম্যাট একবার না ধুলে আপনার অনায়াসে সর্দি হতে পারে। আধাকাপ ব্লিচিং পাউডার ঠাণ্ডা পানিতে মিশিয়ে এগুলো ওয়াশিং শেনে ধুতে পারেন। তবে রাবারের ম্যাটের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাবধান থাকতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/৩০ নভেম্বর ২০১৫/শরীফ

 

সর্বশেষ খবর