২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৪:১৪

ভুল বয়সে বিয়ে নয়, বলছে সমীক্ষা

অনলাইন ডেস্ক

ভুল বয়সে বিয়ে নয়, বলছে সমীক্ষা

সব কিছুরই একটা বয়স রয়েছে। পরিবারের বড়রা সে জন্যেই হয়তো বলে থাকেন, সময়ের জিনিস সময়ে করা ভালো। বিয়ে এক্ষেত্রে অন্যতম একটা বিষয়। অনেকেই বিয়ে করার জন্য ছোট থেকেই উঠে-পড়ে লাগেন। অনেকে আবার নিশ্চিন্তে বসে থাকেন। আড়মোড়া ভেঙে বিয়ের পিড়িতে বসতে বসতে বয়স প্রায় ৪০-এর কোঠায় ঠেকে। এই দুই পক্ষের জন্যই বিপদ সংকেত দিচ্ছে সমীক্ষা।

তিন দশক আগেও একটা ধারণা ছিল, একটু বেশি বয়সে বিয়ে করা ভালো। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে অন্য কথা।

গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর বিয়ে করলে সে সম্পর্কে ডিভোর্সের সম্ভাবনা ভীষণ বেড়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সম্পর্কটা টিকছে না। ইউটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতাত্ত্বিক নিকোলাস উল্ফিঙ্গার জানান, বয়সের আগেও ঠিক নয়, পরেও নয়। সঠিক বয়সে বিয়ে করার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সুখী বিবাহিত জীবনের চাবিকাঠি।

তিনি বলেন, 'কেউ যদি ২০ বছর বয়সে বিয়ে করে তাঁর ডিভোর্সের সম্ভাবনা একজন ২৫ বছর বয়সে বিয়ে করা ব্যক্তির থেকে ৫০ গুণ বেশি। ২৫-এর পর থেকে প্রতি বছর ১১ শতাংশ করে ডিভোর্সের সম্ভাবনা কমতে থাকে। এটা চলে ৩২ পর্যন্ত। এরপর আবার উল্টো রথ। এই বয়সের যত পরে আপনি বিয়ে করছেন, ডিভোর্সের সম্ভাবনাও তত তাড়াতাড়ি বাড়তে থাকে। যদিও ব্যতিক্রম থাকাটা আশ্চর্য নয়।'

তার মতে অনেক কারণেই বেশি বয়সে বিয়ে হয়। কেউ একাধিক শয্যাসঙ্গিনী নিয়ে থাকেন, তাই বিয়ের তাগিদ বোধ করেন না। কেউ আবার কাউকে খুঁজে পান না অথবা আরও ভাল কাউকে পাবেন- এই আশায় বসে থাকেন। দুই ক্ষেত্রেই বেশি বয়সের বিয়ে বিপজ্জনক।

যদি আগের পক্ষের স্ত্রীর সন্তান থাকে, তা হলে দ্বিতীয় বিয়ের পর জীবন আরও জটিল হয়। অতীত জীবনের ছায়া এসে বর্তমানকে অন্ধকার করে তোলে। আর তার জন্যই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গণ্ডগোল দেখা যায়। আবার যাঁরা পছন্দ মতো সঙ্গী পান না, তাঁরা অনেকটা বাধ্য হয়ে বা পরিবারের চাপে বিয়ে করেন। সে ক্ষেত্রেও ডিভোর্সের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

বিডি-প্রতিদিন/২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ

সর্বশেষ খবর