১৭ এপ্রিল, ২০১৬ ১০:০৬

যে কারণে পেটে মেদ জমে

অনলাইন ডেস্ক

যে কারণে পেটে মেদ জমে

ভুঁড়ি থাকা সুখী মানুষের লক্ষণ- এই প্রবাদটির বর্তমানে কোনো মূল্যই নেই। সবাই চায় সবসময় স্লিম থাকতে। তাই পেটে মেদ জমলে তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান। ফলে মেদ কমাতে অনেকেই নানা রকম পদ্ধতি গ্রহণ করেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এসব সত্ত্বেও মেদ কমে না। এর কারণ পেটে মেদ জমার বেশকিছু কারণ রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে অনেকেরই জ্ঞান নেই। নিচে পেটে মেদ জমার সেসব কারণ নিয়েই আলোচনা করা হলো :

অতিরিক্ত সফট ড্রিংকস পান করা : গরম থেকে রেহাই পেতে সবাই কম- বেশি সফট ড্রিংকস পান করে। আর ড্রিংকস পান করার এই বাজে অভ্যাসটি আপনার পেটে খুব দ্রুত মেদ জমায়। কারণ এতে রয়েছে কার্বন ডাই অক্সাইড ও প্রচুর চিনি যা পেটের মেদ জমতে সহায়তাকারী। তাই ড্রিংকস পানের অভ্যাস বদলে ফলের রস, ফল এবং লেবুর সরবত খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।

একবারে অনেক কিছু খাওয়া : কেউ কেউ কাজের ব্যস্ততায় খাওয়ার সময় না পেয়ে একবারে দুপুরে খাবার খান। আবার কেউবা বিকেলে কিছু না খেয়ে ক্ষুধা পেটে রাতে একবারে খান। এই কাজটি পেটে মেদ জমতে সাহায্য করে। কোনো বেলা খাবার বাদ দিলে পেটের ক্ষুধা পরবর্তী সময়ে অনেক বেশি খেতে বাধ্য করে। আর বেশি খাবার হজম হতেও সময় নেয় এবং ততক্ষণে পেটে মেদ জমা শুরু করে।

রাতে খেয়েই ঘুমিয়ে পড়া : অনেকেই রাতে বেশ দেরি করে খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। এই বাজে অভ্যাসটিও পেটে মেদ জমানোর জন্য দায়ী। কারণ ভরা পেটে ঘুমিয়ে গেলে হজমের সমস্যা হয়। এতে করে পেটে মেদ জমে। তাই রাতে দেরি করে খাওয়া ঠিক নয়। আর যদি নিতান্তই দেরি হয় তবে খাওয়ার অন্তত ২/৩ ঘণ্টা পরে ঘুমাতে যান।

রাগ, বিষণ্ণতা এবং দুঃখ পেলে খাওয়া : রেগে গেলে কিংবা বিষণ্ণতায় পড়লে অথবা কোন ব্যাপারে দুঃখ পেলে অনেকেই খাবার খান। মুড ঠিক করতে কিছুটা খাবার খাওয়া অবশ্যই খারাপ কিছু নয়। কিন্তু এ ধরণের মানসিকতায় বেশি খাওয়া খারাপ। কারণ এতেই পেটে মেদ জমে যায়। তাই রাগ, বিষণ্ণতা এবং দুঃখ পেলে খাওয়ার অভ্যাসটি ত্যাগ করাই ভালো।

বিডি-প্রতিদিন/১৭ এপ্রিল ২০১৬/শরীফ

 

সর্বশেষ খবর