১১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৪:০৯

শীতে রুক্ষ ত্বকের যত্নে...

অনলাইন ডেস্ক

শীতে রুক্ষ ত্বকের যত্নে...

সৌন্দর্য কথাটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠবে একটি লাবণ্যময় হাসিমাখা মুখের প্রতিচ্ছবি। সুন্দর হতে চায় না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। কিন্তু ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে ত্বকেও কিছুটা পরিবর্তন আসে। গরমে ত্বকে যে রকম সমস্যা, শীতের সমস্যা অনেকটা ভিন্ন। আবার ত্বকের ধরন যখন শুষ্ক তখন সব ঋতুতেই প্রধান সমস্যা থাকে শুষ্কতা। সারা বছরই যাদের ত্বক শুষ্ক থাকে শীতের সময় তাদের সমস্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণে। তবে একটু যত্ন নিলেই ফ্রেশ থাকার পাশাপাশি আপনি হয়ে উঠবেন লাবণ্যময়।  

শুষ্ক ত্বকে তেলগ্রন্থি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম থাকে। ফলে ত্বক অল্পতেই শুষ্ক হয়ে যায়। আর শীত এলে এ ধরনের ত্বকে শুষ্কতা বেশি দেখা দেয়। এ ছাড়া এ ধরনের ত্বকে বলিরেখা তাড়াতাড়ি পড়ে, শীতের সময় শুষ্কতায় অস্বস্তিও দেখা দেয়।   এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যত্ন করে প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। সপ্তাহে দু-তিন দিন নিয়ম করে স্ক্রার্বিং করতে হবে। আমন্ড অয়েল এ ধরনের ত্বকের জন্য উপকারী। ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ তেল শুষ্ক ত্বকে পুষ্টি জোগায়। শুষ্ক ত্বকে ক্রিম সমৃদ্ধ ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত। আর টোনিংয়ের ক্ষেত্রে ‘ফ্লাওয়ার’ সমৃদ্ধ টোনার শুষ্ক ত্বকের উপযোগী। ঘরোয়া উপায়ে যদি পরিষ্কার করতে চান তবে বেসন ভালো ক্লিনজার। সাবানের পরিবর্তে বেসন দিয়ে দিনে দু-তিনবার পরিষ্কার ত্বক করুন।

এ ধরনের ত্বকের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা অত্যন্ত জরুরি। যতবার মুখ ধোবেন ততবারই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। রাতে কিছুটা হালকা ময়েশ্চারাইজিং করতে পারেন। এ জন্য একটি ডিমের কুসুমের সঙ্গে বেশ খানিকটা দুধের সর, একটু মসুর ডাল বাটা ও একটু মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে লাগাতে পারেন। সপ্তাহে তিন দিন এ প্যাক ব্যবহারে ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্ক ভাব কমে আসবে। শুষ্ক ত্বকের লাবণ্য ফিরিয়ে আনতে হারবাল ফেসিয়াল ছাড়াও বিভিন্ন বিউটি ফেসিয়াল করাতে পারেন।

সময় যখন শীতের তাই এ সময় শুষ্কতা থেকে রক্ষা পেতে বেসনের সঙ্গে কাঁচা দুধ মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে এবং দেহের অনাবৃত অংশে ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক পরিষ্কার, উজ্জ্বল ও মোলায়েম হবে। স্ক্রার্বিংয়ের সময় এই মিশ্রণের সঙ্গে এক চা-চামচ চিনি মিলিয়ে নিন। এরপর পুরো মুখে লাগিয়ে পাঁচ মিনিট হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। তারপর উষ্ণ পানির ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চাইলে এর সঙ্গে কয়েকটা গোলাপের পাপড়ি পেস্ট করে মিশিয়ে নিন।

ত্বক তৈলাক্ত হলেও শীতের সময় শুষ্ক অনুভ‚ত হয়। এ ক্ষেত্রেও চিনির পরিবর্তে তৈলাক্ত ত্বকে মধু ভালো কাজ করবে। বেসনের ক্ষেত্রে মসুর ডালের বেসন তৈলাক্ত ত্বকের উপযোগী।

মধু ত্বকে বাড়তি পুষ্টি জোগান দেয়। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ। ত্বক পরিষ্কার করার এক-দুই মিনিটের মধ্যে টোনিং করতে হবে। এরপর ময়েশ্চারাইজিং করুন। পাকা পেঁপে ও মধু মিলিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। পাঁচ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। পাকা পেঁপে ‘ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজার’ হিসেবে ভালো কাজ করে।

ত্বকের যত্নে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। প্রতিদিনই রাতে ঘুমানোর আগে ত্বক পরিষ্কার করে ভালো ব্র্যান্ডের একটা নাইট ক্রিম ব্যবহার করুন। এটা রুক্ষতা দূর করে ত্বক আর্দ্র করে তুলবে।

 

বিডি-প্রতিদিন/ ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ

সর্বশেষ খবর