১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ১১:৩০

মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে বীজ ছাড়িয়ে আপেল খান

অনলাইন ডেস্ক

মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে বীজ ছাড়িয়ে আপেল খান

আপেলের বীজ বা দানাতেই রয়েছে সায়ানাইডের মতো জীবনহরণকারী বিষ। আপেলের বীজে ছোট-বড় সবার প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে। আপেল, চেরি, পিচ, অ্যামন্ড রোজ গোত্র ভুক্ত। এইসব রোজভুক্ত ফলে রয়েছে বিশেষ একধরনের প্রাকৃতিক রাসায়নিক। যা কিছু প্রাণীর জন্য মারাত্মক টক্সিক। 

গবেষণায় দেখা গেছে, আপেলের বীজে রয়েছে অতি সামান্য মাত্রায় প্রাণঘাতী সায়ানাইড। আপেলের সঙ্গে গোটা বীজটাই গিলে ফেললে তা পরিপাকনালি হয়ে মলদ্বার দিয়ে আস্ত দানা হিসেবেই বেরিয়ে যাবে। আপেলের বীজের কঠিন আবরণ ভেদ করে সায়ানাইডের বাইরে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়। তাই বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকে না। 

বিপত্তি ঘটবে বীজে কামড় পড়লে। তবে একটি দানা কোনওভাবে চিবিয়ে ফেললে বড়দের ক্ষেত্রে ভয়ের কিছু নেই। শরীর তা বিষমুক্ত করে বের করে দেবে।তাই বলে ইচ্ছে করে এমনটা করা যাবে না। 

প্রতি কিলোগ্রাম শরীরের ওজনে এক মিলিগ্রাম সায়ানাইড ক্ষতিকারক। প্রতিটি আপেল দানায় থাকে গড়ে ০.৪৯ মিলিগ্রাম সায়ানোজেনিক যৌগ। একটি আপেলে গড়ে আটটির মতো বীজ থাকে। অর্থাৎ গোটা আপেলে মোট সায়ানাইডের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৩.৯২ মিলিগ্রাম।

সেই হিসেবে ৭০ কেজি ওজনের কোনও ব্যক্তির পেটে কমপক্ষে ১৪৩টি বীজ গেলে, নিশ্চিত মৃত্যু। এ জন্য লাগবে ১৮টি আপেল। তবে ওজন কম হওয়ায় বাচ্চারা একসঙ্গে ৪-৫টি আপেল দানা চিবিয়ে খেলে তার পরিণতি হবে ভায়াবহ। সায়ানাইডের বিষে তত্‍‌ক্ষণাৎ মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই, সাবধান হোন। দানা ফেলে তবেই বাচ্চাকে আপেল দিন।

বিডি প্রতিদিন/১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা

সর্বশেষ খবর