২৬ এপ্রিল, ২০১৭ ১১:৫০

চর্বি কি সত্যিই হৃদরোগের কারণ!

অনলাইন ডেস্ক

চর্বি কি সত্যিই হৃদরোগের কারণ!

সম্পৃক্ত চর্বির সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক নেই বলে দাবি করলেন একদল চিকিৎসক। তাদের দাবি- ঘি, মাখনের মতো প্রাণিজ চর্বি খাবার তালিকা থেকে বাদ দিলেই হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যাবে না। এটা একটা ভ্রান্ত ধারণা। উপরন্তু, প্রতিদিন ২২ মিনিট হাঁটা (সেকেন্ডে তিন কদম), বাড়িতে তৈরি সুষম খাদ্য খাওয়া ও চাপমুক্ত থাকা কার্যকরভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। 

লন্ডনের পাসকল মেইর অব ইউনিভার্সিটি কলেজের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অসিম মালহোত্রার নেতৃত্বাধীন চিকিৎসক দল এ দাবি করেছেন। তারা বলেছেন, প্রাণীজ চর্বি রক্তনালী ব্লক করে করে, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই ধারণাটা একেবারেই ভুল। 

যদিও তাদের এ বক্তব্যকে অযাচিত ও ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসকদের আরেকটি পক্ষ।

ব্রিটিশ স্পোর্টস মেডিসিন জার্নালের এক উপ-সম্পাদকীয়তে লন্ডনের পাসকল মেইর অব ইউনিভার্সিটি কলেজের ডা. মালহোত্রা এবং আমেরিকান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রিতা রেডবার্গ বলেন, সাধারণ মানুষ এমনকি চিকিৎসকদের মধ্যেও একটা ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে, সম্পৃক্ত চর্বি রক্তনালী বন্ধ করে দেয়। সত্যিকার অর্থে পনির, মাখনের মতো খাবারগুলো এতটা ক্ষতিকর নয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে,  উল্টো কিছু চর্বি যেমন জলপাই তেল, বাদামের তেল হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। তাই চর্বি নিয়ে আমাদের চলমান ভুল ধারণা এখনই বদলাতে হবে। হৃদরোগকে দূরে রাখতে হলে দৈনিক ২২ মিনিট হাঁটা, সতেজ ও সুষম খাদ্য গ্রহণের বিকল্প নেই। 
 
তারা বলেন, চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী সপ্তাহে ১৫০ মিনিট অথবা দিনে ২২ মিনিট হাঁটা সাড়ে তিন থেকে সাড়ে চার বছর আয়ু বাড়িয়ে দিতে পারে। একইসঙ্গে প্রক্রিয়াজাত ও ফাস্ট ফুড বর্জনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন এ গবেষকরা। ডা. মালহোত্রা বলেন, চিকিৎসকরা শুধু চর্বি জাতীয় খাবার বর্জনের কথা বলেন। কিন্তু আসল শত্রু হলো প্রক্রিয়াজাত খাবার ও ফাস্ট ফুড। তার মতে অধিক তেলযুক্ত খাবার খাওয়ায় কোন বাধা নেই। তবে বাড়িতে রান্না করা সতেজ খাবার খেতে হবে। শর্করা জাতীয় খাবারগুলো কম প্রক্রিয়াজাত হতে হবে। যেমন আশসহ আটার রুটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। 

তবে তাদের এ মতামতকে পাল্টা যুক্তি দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন অনেকে। 

ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের ডা. মাইক নাপটন বলেন, কয়েক দশক ধরে অসংখ্য গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, সম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত খাবার শরীরে ক্ষতিকর এলডিএল কলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয় যা হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। সূত্র: ডেইলি মেইল।


বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

সর্বশেষ খবর