শীতকাল বলে পানিকে ভয় পায় অনেকেই। ঠান্ডা পানিতে গোসল করে চনমনে থাকতে পারেন আপনি নিজেও। সেই সঙ্গে দূর হতে পারে বহু রোগ। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে দেখে নেওয়া যাক সেই সম্পর্কে বিস্তারিত-
১। দেহের রক্ত প্রবাহমাত্রা বৃদ্ধি-
ঠান্ডা পানিতে করলে দেহের রক্ত প্রবাহমাত্রা বেড়ে যায়। ঠান্ডা জলের স্পর্শ পেলেই ত্বক সঙ্কুচিত হয়ে আসে। কারণ এই সময় ত্বক কিছুটা তাপমাত্রা হারায়। ফলে রক্ত চলাচল কিছুটা ধীর গতিতে হওয়ার কারণেই রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং শিরা-উপশিরায় দ্রুত গতিতে ধাবিত হতে থাকে।২। দেহের স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে আনে-
ঠাণ্ডা পানি মুহুর্তেই দেহে সজীবতা ফিরিয়ে আনে। যাদের ঘুমের সমস্যা হয় তারা উপকার পেতে পারেন।
৩। সহজাত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধির সুফল-
ঠাণ্ডা পানি গায়ে ঢাললে শীত লাগে। কারণ ত্বক তার স্বাভাবিক তাপমাত্রা হারায়। বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার সাথে মানাসই হতে তখন দেহ নিজেই তাপ উৎপন্ন করে। এর জন্য কিছু কার্বহাইড্রেট পোড়াতে হয়। গোটা ঘটনা দেহের সহজাত রাসায়নিক প্রক্রিয়া। আর এই রাসায়নিক প্রক্রিয়াটিকে সচল রাখা ভাল।
৪। প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে-
রক্তের শ্বেত কণিকা বাড়াতে চাইলে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করুন। ঠাণ্ডা ত্বক নিজেই তাপ উৎপাদনের সময় অধিক পরিমাণে শ্বেত কণিকার জন্ম দেয়। আর রক্তের এ কণিকা হলো আপনার দেহের সেনাবাহিনী। যেকোনো রোগের আক্রমণ ঠেকাতে এরাই যুদ্ধ করে।
৫। পেশীর ক্ষত নিরাময় করে-
পরিশ্রমের সময় পেশীর কাজ হয়। তখন এর সূক্ষ্ম টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদের আবার পূর্বের সুস্থতা ফিরিয়ে দিতে বিশ্রামের দরকার। ঠাণ্ডা পানি পরিশ্রমের পর পেশীকে আরাম দেয়।
৬। অন্যান্য উপকারিতা-
পুরনো কিছু ব্যাথা কমে আসতে পারে, চুলকানি দূর হয়, চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পায়, দেহের অস্বস্তিকর উত্তেজনা প্রশমিত হয় এবং কিছু স্নায়বিক দুর্বলতা দূর হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর
