১৫ জুলাই, ২০১৮ ০৫:১৫

ত্বকের যত্নে পাকা পেঁপে

অনলাইন ডেস্ক

ত্বকের যত্নে পাকা পেঁপে

আমাদের খুবই পরিচিত একটি ফল পেঁপে। এ ফল সারা বছর পাওয়া যায়। কাঁচা ও পাকা দু’রকম পেঁপেই শরীরের জন্য উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁপে শরীরের বাড়তি চর্বি কমানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিওলাইটিক এনজাইম। এটি আমাদের শরীরের প্রোটিন হজমে সহায়তা করে। এছাড়া এই এনজাইম ক্যান্সার নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর এ কারণে কাঁচা পেঁপে রান্নার পরিবর্তে কাঁচা খাওয়াটাই শরীরের জন্য বেশি উপকারী। 

পাকা পেঁপে আমাদের হজম, দৃষ্টিশক্তিবর্ধন সহ নানা উপকার করে। ত্বক উজ্জ্বল করতে প্রাকৃতিক উপাদানের ভুমিকা অনেক বেশি। কারণ বাজারে পাওয়া সব কসমেটিকস সাময়ীক ত্বক উজ্জ্বল করলেও তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে। তবে প্রাকৃতিক উপাদানে ত্বকের উজ্জ্বলতা তো বাড়েই সেই সঙ্গে ত্বককে ক্ষতির হাত থেকেও রক্ষা করে।

যাদের ত্বক বেশি তৈলাক্ত, রুক্ষ ও ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে, ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন ইত্যাদি যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে পারে একমাত্র পেঁপে। বাজার থেকে একটি পেঁপে কিনে এনে করে ফেলুন ত্বকের পরিচর্যা।

সাধারণ ত্বকে পেঁপে,কলা ও শসার প্যাক
যাদের ত্বক নিয়ে সে রকম কোনো সমস্যা নেই তারা পেঁপে, কলা ও শসার প্যাক বানিয়ে মুখে, গলায় ও ঘাড়ে ব্যবহার করুন। অন্তত ১০-১২মিনিট মুখে লাগিয়ে হালকা উষ্ণ জলে ধুয়ে নিন। তার পরে হালকা করে একটি তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। এক মাসের মধ্যে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার ত্বক আগের তুলনায় মসৃণ ও চকচক করছে।

রুক্ষ ত্বকে পেঁপে ও মধু প্যাক
যাদের রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বক তারা এক-চতুর্থাংশ কাপ পাকা পেঁপে ও আধ কাপ মধু এবং আধ ২ কাপ লেবুর রস দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। অন্তত ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রত্যেক সপ্তাহে ২-৩ দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। দেখবেন হাতে হাতে ফল পাচ্ছেন।

তৈলাক্ত ত্বকে পেঁপে ও কমলালেবুর প্যাক
ত্বক দিন দিন তৈলাক্ত হয়ে যাচ্ছে। কারণ অত্যধিক পরিমাণে বাতাসে দূষণ থাকার কারণে বেশির ভাগ মানুষই তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু তার জন্য রয়েছে সমাধানও। এক বাটি পাকা পেঁপের সঙ্গে তিন চামচ কমলালেবুর রস দিয়ে একটি প্যাক বানান। এর পরে ১৫ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে ১-২ দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন তৈলাক্ত ত্বক থেকে সহজেই কী ভাবে মুক্তি পাচ্ছেন।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর