১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৯:০৭

মানসিক উদ্বিগ্নতা সারিয়ে তুলতে পারে দাদা-দাদি

অনলাইন ডেস্ক

মানসিক উদ্বিগ্নতা সারিয়ে তুলতে পারে দাদা-দাদি

শিশু-কিশোর বা তরুণ তরুণীর মধ্যে মানসিক অসুস্থতা বা উদ্বিগ্নতা দেখা দিলে, সেটা কাটিয়ে উঠতে বড় ধরণের ভূমিকা রাখতে পারে দাদা-দাদী বা নানা-নানী। এ কারণে শিশু বা অল্পবয়সীদের মধ্যে এমন সমস্যা দেখা দিলে তাদের দাদা-দাদীর সংস্পর্শে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

টেলিফোন হেল্প-লাইন পরিষেবা চাইল্ড-লাইনের প্রতিষ্ঠাতা ডেইম এস্থার রান্টজেন বলেছেন, যৌথ পরিবারের ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে এবং নিকটবর্তী আত্মীয় স্বজনের সাহচর্যের অভাবে কারণে শিশুদের বেড়ে ওঠা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক বাবা-মা এতোটাই ব্যস্ত থাকেন যে তারা শিশুদের মানসিক চাহিদা পূরণ করতে পারেন না।

চাইল্ড-লাইন পরিচালনাকারী দাতব্য সংস্থা এনএসপিসিসি টেলিফোনের মাধ্যমে আক্রান্তের সঙ্গে খোলামেলা আলাপ-আলোচনা করে যা অনেককেই আত্মহত্যা থেকেও ফিরিয়ে আনতে পেরেছে। এ থেকে আন্দাজ করা যায় যে, একজন অপরিচিত মানুষের সঙ্গেও মন খুলে কথা বলতে পারার সুযোগ কতোটা সহায়ক হতে পারে। আর সেই মানুষটা যদি পরিবারের কাছের মানুষ হয়, তাহলে তো কথাই নেই। 

এ ধরনের হেল্প-লাইন পরিসেবা যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন ডেম এস্থার। তিনি বলেন, যখন আমি ছোট ছিলাম, তখন আমি যৌথ পরিবারে বেড়ে উঠেছিলাম। আমি যে বিষয়গুলো নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারতাম না, সেটা নিয়ে হয়তো পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলতাম। সেই সুযোগটা আমার ছিল। মানুষ সারা দিন ব্যস্ত থাকে - অনেকেই দুই থেকে তিনটা চাকরি করে থাকেন, অথবা তারা যেখানে কাজ করছেন সেখানে হয়তো তার পরিবার থাকে না। আবার অনেককেই চাকরির কারণে পরিবারের থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে। এমন নানা কারণে দিন দিন পরিবারগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। আবার ছোট পরিবারগুলোর সদস্যরাও সময় দিতে না পারার কারণে এক ধরণের বিচ্ছিন্নতায় ভুগছে।

ডেইম এস্থারের মতে, আজকাল বড় পরিবারগুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে এবং পরিবার একীভূত রাখাটাকে এখন আর কেউ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না।  যে পরিবারের শিশুরা দাদা- দাদী বা নানা-নানীর সংস্পর্শে বেড়ে ওঠে তারা বুঝতে শেখে যে জীবনকে তারা যতোটা জটিল ভাবে, জীবন এতোটা খারাপ না। পরিবারের কেউ যদি মানসিক উদ্বিগ্নতায় ভোগে, এবং দ্রুত যদি এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়া না হয় তাহলে যে কারও মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বা দীর্ঘস্থায়ী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার দেখা দিতে পারে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

সর্বশেষ খবর