হ্যাঁ ত্বকেরও চাই বিশুদ্ধ বাতাস। কেননা অক্সিজেনের অভাব ত্বককে করে অলস, বয়স্ক, নিস্তেজ এবং ডিহাইড্রেটেড। বয়স এবং জীবনযাত্রা (দূষণ, চাপ, ক্লান্তি, চর্বিযুক্ত খাবার) স্বাভাবিকভাবেই কমিয়ে দেয় ত্বকে অক্সিজেনের মাত্রা। আবার ঠিকঠাক পরিষ্কার করা না হলে দেখা দেয় নানা সমস্যা। যা আমাদের ত্বকে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
ত্বকের অক্সিজেন মানে?
সব সময় ত্বক পরিষ্কার রাখা মানেই ত্বকের প্রয়োজনীয় শ্বাস (অক্সিজেন) নিতে দেওয়া নয়। রক্তের অক্সিজেন ত্বকে পুষ্টি জোগায়। লোমকূপে প্রসাধনীকে আবদ্ধ থাকতে না দেওয়ার অর্থই ত্বককে শ্বাস নিতে দেওয়া। ত্বক ঠিকঠাক অক্সিজেন নিতে না পারলে ত্বকের ক্ষতি হয়। অনাকাক্সিক্ষত ব্রণ, তেল চিটচিটেভাব, শুষ্কতা এমনকি বলিরেখাও দেখা দিতে পারে।
কেন ত্বকে অক্সিজেন প্রয়োজন
ত্বকের লোমকূপ যত কম আবদ্ধ থাকবে, ব্যবহৃত প্রসাধনী তত বেশি শোষণ করবে। আর ভালো ফল পাওয়া যাবে। এতে ত্বকের পিএইচয়ের মাত্রা বজায় থাকে। এতে অতিরিক্ত শুষ্কতা এবং তৈলাক্ততা দেখা দেয় না।
ত্বকে অক্সিজেন পাওয়ার উপায়
♦ নিঁখুত ত্বকের জন্য আর্দ্রতা রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। নানানভাবে ত্বক আর্দ্র রাখা যায়। যেমন- পানি পান ও ময়েশ্চারাইজার। ত্বক আর্দ্র রাখা শ্বাস নিতে সহায়তা করে। কারণ পানি পানে দেহে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ে।
♦ পরিষ্কার ত্বকের অন্যতম শর্ত একে অক্সিজেন নিতে দেওয়া। তাই প্রয়োজন না হলে সপ্তাহে অন্তত এক দিন মুখে কোনো রকম প্রসাধনী ব্যবহার না করা। এতে ত্বক ভালোমতো অক্সিজেন নিতে পারবে। লোমকূপ উন্মুক্ত থাকবে।
♦ পরিষ্কার ত্বক পেতে ভালো মতো ধোয়ার বিকল্প নেই। ত্বকের দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য, টানটান ভাব এবং ধরন ইত্যাদি ভেবে এর যত্ন নিতে হবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে ভালোমতো ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। ব্যায়াম করার পরেও ত্বক পরিষ্কার করা জরুরি।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ