সুন্দর গন্ধ মানুষের মনকে ফুরফুরে ও আত্মবিশ্বাসী রাখতে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, সুগন্ধি আপনার মন, রুচিবোধ ও ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করে। তাই নিজেকে সতেজ ও তরতাজা থাকতে সুগন্ধি ব্যবহারের বিকল্প নেই। তবে এ গরমে পারফিউম, বডি স্প্রে ও ডিওডোরেন্টের ব্যবহার ও চাহিদা বেড়ে যায় বহুগুণ। স্বল্প পরিসরে সে বিষয়গুলো জেনে নিই।
স্থান ও পরিবেশ :
অফিসে হালকা সুগন্ধি ব্যবহার করতে হয়। আর যেখানে অনেক খোলামেলা বা প্রচুর প্রাকৃতিক বাতাস রয়েছে সেখানে কিছুটা কড়া সুগন্ধি ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনার দু-তিন ফুটের বাইরের মানুষ যেন আপনার সুগন্ধি টের না পায় সেটা খেয়াল করুন। বিজ্ঞাপনের মতো পাগলপারা কড়া সুগন্ধি আপনার কাছে ভালো লাগলেও অন্যদের জন্য তা ভীষণ বিরক্তিকর।
লিঙ্গভেদে সুগন্ধি :
লিঙ্গভেদে সুগন্ধি তৈরি হয়। কেনার সময় কার জন্য কিনবেন জেনে কিনুন। মেয়েদের গন্ধগুলো একটু কোমল ধরনের হয়ে থাকে আর ছেলেদের গন্ধগুলো বেশ তীব্র হয়ে থাকে। তাই কেনার ক্ষেত্রে লিঙ্গ দেখাটা জরুরি।
সুগন্ধি কাপড়ে লাগাবেন না :
আমরা সাধারণত জামা-কাপড়ের ওপরেই সুগন্ধি লাগিয়ে নিই। আসলে কিন্তু এতে কোনো লাভই নেই! কারণ, একটু পরই এ গন্ধ মিলিয়ে যায়, তা সে যত বিখ্যাত ব্র্যান্ডেরই হোক না কেন। কাপড়ে সুগন্ধি লাগানোর আরও একটা খারাপ দিক হচ্ছে -দাগ বসে যায়। সুগন্ধি মাখার নিয়ম হলো- আপনার চারপাশে স্প্রে করে কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। তা ছাড়া হাতের কবজি, কানের লতি ও ঘাড়েও একটু স্প্রে করে নিতে পারেন। তাহলে গন্ধটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়।
অতিরিক্ত সুগন্ধি নয় :
অনেকেরই অতিরিক্ত মাত্রায় সুগন্ধি মাখার অভ্যাস রয়েছে, যদি এ অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে পরিত্যাগ করুন। কারণ আপনার সুগন্ধির ঝাঁজ অন্যের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ালে তা আপনার ব্যক্তিত্বের জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়াও অতিরিক্ত সুগন্ধির গন্ধে মাথা ধরার সম্ভাবনা থাকে।
বদলে নিন :
আপনি হয়তো সবসময় একই ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করে অভ্যস্ত। মাঝেমধ্যে অভ্যাসে এবং পছন্দের পরিবর্তন আনুন। আর চেষ্টা করুন পরিবেশ ও প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে সুগন্ধি বেছে নিন। সুগন্ধি হলো আত্মপ্রকাশের সবচেয়ে শক্তিশালী ও স্মরণীয় মাধ্যম।
লেখা : উম্মে হানি
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ