২০১৭’র বিদায় লগ্নে হাজার হাজার লোক জড়ো হয় আধুনিক মালয়েশিয়ার প্রতীক পেট্রনাস টুইন টাওয়ারের চতুর্দিকে। বেলা শেষে সন্ধ্যার আগমনের সাথে সাথে আশপাশের রাস্তাগুলোও চলে যায় মানুষের দখলে। বন্ধ হয়ে যায় টুইন টাওয়ারের আশে পাশের রাস্তাগুলোর গাড়ি চলাচল। এ যেন জনসমুদ্র।
স্থানীয় সময় রাত ১২টা ০১ মিনিট হওয়ার সাথে সাথে মুহুমুহু আতশবাজির ঝলকানীতে পুরো কুয়ালালামপুরের আকাশ হয়ে উঠে রঙ্গিন। হ্যাপি নিউ ইয়ার, হ্যাপি নিউ ইয়ার ধ্বনিতে সকলে বরণ করে নেন নতুন বছর ২০১৮ সালকে।
টুইন টাওয়ারকে ঘিরে গড়ে ওঠা শপিং মল সুরিয়া কেএলসিসি। বুকিট বিন্তাং প্যাভেলিয়ন, লটটেন, কেএল প্লাজা, সোগোসহ পুরো কুয়ালালামপুর নববর্ষকে ঘিরে বিভিন্ন ভাষাভাষী লাখো মানুষের মিলনমেলায় জমে ওঠে। হ্যাপি নিউ ইয়ার, শুভ নববর্ষ, সালামাত তাহুন বারু (মালয়), কূল আ’ম আনতুম খায়ের (আরবী), 'ঝিন নিয়ান কুয়েই লি (ম্যান্ডারিন), মানিগং বাগং তাওন (ফিলিপিনো), বন অ্যানি (ফ্র্যাঞ্চ), আকিমাশিত ওমেদাত গজাইমাসু (জাপানী), সালে নও (পার্সী)-সহ কত ভাষায় যে উপস্থিত দর্শনার্থীরা প্রিয়জনদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে থাকেন তার শেষ নেই।এছাড়া মালয়েশিয়ার সেলাংগর, পেনাং, জোহরবারু, কেলান্তান, কোয়ান্তান, পেরাক, ইপু, মালাক্কা জুড়ে আতশবাজীর উৎসব, ক্লাউন, পাপেট শোসহ বিভিন্ন আনন্দ আয়োজন সবার মন কাড়ে।
প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এতে অংশ নেন। আর বিশেষ করে সাধারণ প্রবাসীরা নববর্ষের এ ছুটির দিনটিতে বিকেলে কুয়ালালামপুর জুড়ে বাংলাদেশিদের বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন স্থানগুলোতে উপস্থিত হয়ে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডাবাজীতে মেতে ওঠেন।
বিডি প্রতিদিন/০১ জানুয়ারি ২০১৮/এনায়েত করিম