জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রবিবার (১১ আগস্ট) নেতাকর্মীদের জমায়েত ও শোক সভার আহ্বান করা হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এ কর্মসূচি নিয়েছে জাসদ (একাংশ)। তবে জাসদ অফিসে এই অংশের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কার্যালয় জোর করে দখলের চেষ্টার অভিযোগ করেছে জাসদের অপর অংশ।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে জাসদের একাংশের কর্মীরা কার্যালয়ে যান বলে জানা গেছে। জাসদের এই অংশটি বাংলাদেশ জাসদ নামে পরিচিত। এসময় বাংংলাদেশ জাসদের কর্মীরা জাসদ (ইনু) অংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন বলেও জানা গেছে।
জিপিওর উল্টো পাশে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাসদের এই কার্যালয়টি জাসদ (ইনু) ব্যবহার করে। গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে শনিবার কার্যালয় নিয়ে জাসদের দুই অংশ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, ওই অফিসে আমাদেরও হক আছে। জাসদের নেতাকর্মীরা আজ কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। আগামীকাল রোববার সেখানে এই ছাত্র অভ্যুত্থানে জুলাই-আগস্টের শহীদদের স্মরণে শোক সভার কর্মসূচি দিয়েছেন তারা। সেখানে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে যারা জাসদ করে আসছেন সবাইকে আসতে বলা হয়েছে। শুনেছি হাসানুল হক ইনু ও শিরিন আক্তারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। এটা করা ঠিক হয়নি।
এদিকে, এ ঘটনার পর জাসদের (ইনু) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অফিস বেদখলের অপচেষ্টার কথা বলা হয়েছে। জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, দেশে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জাসদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মদদে মোহন রায়হান ও নাজমুল হক প্রধান কতিপয় দুর্বৃত্তকে সঙ্গে নিয়ে আজ ১০ আগস্ট বিকেল ৪:৩০টায় চোরের মতো জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙে ঢুকে এবং জাসদ কার্যালয়ের কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ অফিসের ব্যবহার্য সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায়।
জাসদের দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন জাসদ অফিস বেদখলের অপচেষ্টা ও চুরির ঘটনার নিন্দা জানান এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে এই ঘটনার সাথে যুক্ত দূর্বৃত্ত, দুষ্কৃতকারী ও চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
সূত্র- বাংলানিউজ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ