বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি বিশেষ মহল পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও উপাসনালয়গুলোতে হামলার অপচেষ্টায় করে, বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের চেষ্টা করছে দুর্বৃত্তরা।’
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী হাসিনার পতন হলেও ভিন দেশীয় ইন্ধনে তাদের প্রেতাত্মা ও দোসররা নানারকম চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে নাশকতা সৃষ্টি করে সর্বসাধারণের গ্রহণযোগ্য ও বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপিকে দায়ী করার ষড়যন্ত্র চলছে। জনগণকে সাথে নিয়ে সকল ধরনের নাশকতা প্রতিহত করতে বিএনপি প্রস্তুত রয়েছে।'
গত ৯ আগস্ট বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে কাতালগঞ্জ নব পন্ডিত বৌদ্ধ বিহার, করুনাময়ী কালী বাড়ি ও রাধামাধব মন্দির পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মীর হেলাল আরো বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সময়ের আন্দোলনে যে সফলতা আমরা পেয়েছি তার মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। দেশ রক্ষায় নিজেদের ত্যাগকে একটি আধুনিক ও উন্নত গণতান্ত্রিক সরকার গঠনে উৎসর্গ করতে হবে। বিএনপির প্রতি মানুষের প্রত্যাশা অনেক। জনগণের প্রত্যাশাকে সন্মান জানিয়ে নিজেদের লোভ-হিংসা পরিত্যাগ করতে হবে। বিএনপি একটি শান্তিপ্রিয় দল। দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বিএনপির নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান করছি।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী, বিএনপি নেতা আসিফ চৌধুরী, সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব ধর তমাল, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, সাংবাদিক নেতা বিপ্লব পার্থ, ছাত্রনেতা সাদ্দাম, চট্টগ্রাম মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী দে, সহ-সভাপতি সুজন দাশ, নগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আহম্মেদ সুমন, মোহাম্মদ রাজু, চট্টগ্রাম মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট নেতা অপু চৌধুরী আকাশসহ অনেকে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ