কোনো দিবসকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কেউ দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বা কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন।
শেখ হাসিনা সরকারের গণহত্যা ও তাদের বিচার দাবিতে বিএনপির কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার দুপুরে রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় দলের বিক্ষোভ মিছিলে এ হুঁশিয়ারি দেন ইশরাক।
এ সময় ইশরাক বলেন, স্বৈরাচারী হাসিনা পালিয়া যাওয়ার পর বিদেশে থাকা তার দুর্নীতিবাজ ছেলে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। তারা ষড়যন্ত্র করছে দেশে কোনো ভাবে নৈরাজ্য, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা বা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানো যায় কিনা। বিদেশ থেকে ষড়যন্ত্র করছে বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার। আর দেশে থাকা স্বৈরাচারের দোসররা তাদের সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। তবে আমরা তাদের শক্ত হাতে রুখে দিব।
ইশরাক বলেন, আগামীর বাংলাদেশে কোনো চাঁদাবাজদের ঠাঁই হবে না। ব্যবসায়ীদের নির্ভয়ের ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের পাশে থাকার নির্দেশ দেন।
একইসাথে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান দায়িত্ব দিয়েছেন আপনাদের পাশে থাকার জন্য। আর আপনাদের সাথে নিয়ে দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য। কোনো দলীয় পরিচয়ে যদি কেউ এসে আপনাদের কোনো ধরনের ডিসটার্ব করে অথবা আপনাদের কাছে চাঁদা দাবি করে তাহলে আপনারা সবাই মিলে তা রুখে দিবেন।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে হওয়া সকল গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং শাস্তি নিশ্চিত করব। শাস্তি না পর্যন্ত বিচারের দাবিতে তিনি মাঠে থাকারও ঘোষণা দেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা যে সফলতা বা স্বাধীনতা পেয়েছি তার মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। দেশ রক্ষায় নিজেদের ত্যাগকে একটি আধুনিক ও উন্নত গণতান্ত্রিক সরকার গঠনে উৎসর্গ করতে হবে। বিএনপির প্রতি মানুষের প্রত্যাশা অনেক। জনগণের প্রত্যাশাকে সম্মান জানিয়ে নিজেদের লোভ-হিংসা পরিত্যাগ করতে হবে। বিএনপি একটি শান্তিপ্রিয় দল। দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বিএনপি নেতাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান করছি।
এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের সভাপতি সুমন ভূঁইয়াসহ স্থানীয় বিএনপি এবং বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত