শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি বদ্ধভূমিতে পরিণত করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। তিনি বলেন, কোনও স্বৈরাচারী সরকার নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। শেখ হাসিনা তার উদাহরণ।
বুধবার শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দেশপ্রেমিক চৌকস সেনা কর্মকর্তাদের বর্বরোচিত হত্যা, হেফাজতের আলেমদের উপর সংঘটিত নিষ্ঠুরতম গণহত্যা, সাংবাদিক দম্পতি সাগর- রুনিকে নির্মমভাবে হত্যা, বিগত ১৭ বছর ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লড়াই করা ইলিয়াস আলীসহ বিএনপি ও সমমনা বিরোধী রাজনৈতিক দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে গুম-খুন-হত্যা-নির্যাতন-নিপীড়ন এবং সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে শত শত প্রাণ কেড়ে নেওয়ার সরাসরি নির্দেশদাতা শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি।
রাজধানীর মালিবাগ থেকে প্রায় হাজার খানেক নেতাকর্মী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি কাকরাইল মোড় হয়ে নয়াপল্টন পার্টি অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয়
মুন্না বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের লড়াই। গণতন্ত্রের মহীয়সী নারী, গণতন্ত্রের প্রতীক, যিনি বারবার আঘাত সহ্য করেও মৃত্যু শয্যায় থেকেও গণতন্ত্রের লড়াইয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন। সেই নেত্রী আজ মুক্তি পেয়েছেন। আমরা যার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছি, আমাদের সেই নেতা তারেক রহমান, যার নামে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ছিল জাতীয়তাবাদকে ধ্বংস করার, কিন্তু পারেনি। এখন আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এখন এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদেরকে আরও কিছু কাজ করতে হবে।
যুবদল সভাপতি বলেন, ছাত্ররা প্রমাণ করেছে, কোনও স্বৈরাচারী সরকার নির্যাতন করে ক্ষমতায় থাকতে পারে না। তাদের এ সাফল্য বিশ্বের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
এসময় যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়েছেন। এত বছর গুমের আতঙ্কে ছিলাম আমরা। অসংখ্য নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণকে হত্যা করেছেন শেখ হাসিনা। লুটপাট, দুর্নীতি গুম, খুন ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন স্বৈরাচার হাসিনা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, দফতর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল। আরও উপস্থিত ছিলেন- শাহ আলম চৌধুরী, মাহফুজুর রহমান, সাইদুর রহমান, ফিরোজ আব্দুল্লাহ, শাহ নাসির উদ্দিন রুমন, গিয়াস উদ্দিন মামুন, রুহুল ইসলাম মনি, দেওয়ান অলি উদ্দিন সুমন, ফকির আশরাফুল আলম লিংকন ও সাজিদ হাসান বাবু প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/একেএ