বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজউদ্দীন আহমেদ (বীর বিক্রম) ভারতকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আপনারা মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদেরকে অনেক সাহায্য করেছেন। সেজন্য আমরা আপনাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ। কিন্তু আপনারা এ দেশের প্রভু হওয়ার কোনো চেষ্টা করবেন না। জনগণের বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করেন। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আপনাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখবে।’
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ‘ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশের গণহত্যার নির্দেশদাতা খুনি হাসিনাকে দেশে ফেরত এনে বিচার ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার। আর এখন মুক্তিযোদ্ধা এসে দাঁড়িয়েছে আড়াই লাখ। এতো মুক্তিযোদ্ধা আসলো কিভাবে? এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছে আওয়ামী সরকার। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে অনেক মন্ত্রীরাও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়েছে। আমরা এখন আর কোনো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দেখতে চাই না।’
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সমর্থন করি। আমরা এই বিপ্লবের একটি সঠিক পরিণতি চাই। আওয়ামী লীগের মতো কোনো কলঙ্ক যাতে তাদেরকে স্পর্শ করতে না পারে।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম ও ফজলুর রহমান প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক