বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সঙ্গে সরকার পতন পর্যন্ত যুগপৎ আন্দোলনের জন্য জোট ছিল বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার ভাষ্যমতে, ‘এই মুহূর্তে কোনো জোট নেই। আমাদের যে জোট ছিল, আন্দোলনের জন্য জোট, সেটা অনেক আগেই অকার্যকর হয়ে গেছে। এটা এখন কোনো কাজ করে না। অনেক আগেই আমরা যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে প্রোগ্রাম ঠিক করে যুগপৎ আন্দোলন করেছি সরকার পতন অবধি। এটা এখন বলবত নেই।’
শুক্রবার দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জামায়াত ইসলামীর সঙ্গে জোট নিয়ে এ মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল। ফখরুল আরো বলেন, ‘অন্য দলগুলোর সঙ্গে আমরা আলোচনা অব্যাহত রেখেছি, কারণ এখনো কেয়ারটেকার সরকার আছে, এরপর নির্বাচন আছে। সুতরাং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমরা আলোচনা বজায় রাখছি, এটা জরুরি। এই মুহূর্তে আমাদের কোনো জোট নেই। আমরা জোটবদ্ধ নই।’
নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দেওয়ার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার তো অন্তর্বর্তী সরকার। একটি নির্বাচিত সরকার থেকে আরেকটি নির্বাচিত সরকার হতে যে সময় দরকার। এটি কোনো নির্বাচিত সরকার নয়। এটি একটি সিলেক্টেড সরকার।’
এদিকে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই বিএনপির সঙ্গে পুরোনো সব দ্বন্দ্ব মেটাতে প্রস্তাব করেছেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সবসময় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। সরকার পতনের পর চেয়ারপারসনও বলেছেন- আমরা প্রতিশোধ, প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে চাই না। আমরা সৌহার্দ্য, ভালোবাসা এবং সুসম্পর্কের রাজনীতি করতে চাই। কিন্তু একই সময়ে জনগণের কাছে জবাবদিহি একটা বড় বিষয়। আজকে আওয়ামী লীগকে তার গত ১৫ বছরের কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতিকে কীভাবে তারা ধ্বংস করেছে, তার জন্য তাকে তো জবাবদিহি করতে হবে। তারা জবাবদিহি করে গণতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করলে আমাদের তো কোনো আপত্তি নেই। আমরা বিশ্বাস করি- যেকোনো দলের যে কোনো ব্যক্তির রাজনীতি করার অধিকার আছে, সেভাবে করবে।’
তারেক রহমানকে বিএনপি দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাঁর ফিরে আসা দেশের জন্য, দলের জন্য খুব প্রয়োজন।’ এ সময় চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিএনপি কাজ করছে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘চেষ্টা হচ্ছে কত দ্রুত তাকে বিদেশে নেওয়া যায়। এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে তার শারীরিক কন্ডিশনের ওপর।’ সূত্র : দ্য ডেইলি স্টার।
বিডি-প্রতিদিন/শআ