শেখ হাসিনা দেশে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চেয়েছিল। যে কারণে, আওয়ামী লীগ ২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দিয়েই “বি” টিম সৃষ্টি করেছিল। একই উদ্দেশ্যে কয়েকটি রাজনৈতিক দলও সৃষ্টি করা হয়েছিল তখন। আমি সেই অভিযোগ সংসদে ও সংসদের বাইরে করেছি। নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পর সংসদে বলেছি। একদলীয় শাসন কায়েম করতে আওয়ামী লীগ সরকার সব দলকে ধংস করতে চেয়েছে। বিএনপিকে হামলা-মামলা দিয়ে ধংস করতে চেয়েছে। তাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে শত শত মামলা দিয়েছিল। আবার, জামায়াতে ইসলামীকে মাঠে দাঁড়াতে দেয়নি। হামলা ও মামলা দিয়ে জামায়াতকেও শেষ করতে চেয়েছে। আর, জাতীয় পার্টিকে ধংস করতে চেয়েছে দুই ভাগ করে।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে জাতীয় পার্টির মধ্যে কৃত্রিম বিভাজন সৃষ্টি করে রেখেছিল আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টির সুবিধাবাদী, সুযোগ সন্ধানী ও বহিষ্কৃত নেতাদের সাহায্যে সম্পূর্ণ বে-আইনিভাবে আরও একটি জাতীয় পার্টি সৃষ্টি করা হয়েছিল। এ পার্টির উদ্দেশ্য ছিল জাতীয় পার্টির ব্যানারে এবং লোগো ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থনে মূল জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া।
আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টামণ্ডলী ও পার্টির ভাইস চেয়ারম্যানদের যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ছাত্র-জনতা রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছে। ছাত্ররা জীবন দিয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সফল করেছে। এই আন্দোলনে জাতীয় পার্টিসহ প্রায় সকল দলই সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে। এই তরুণ ভোটারদের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। আগামী দিনের রাজনীতিতে তরুণরা অসামান্য অবদান রাখেবে।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সভাপতিত্বে চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দের যৌথ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, শেরীফা কাদের, মনিরুল ইসলাম মিলন। উপদেষ্টামণ্ডলীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. নূরুল আজহার শামীম, আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী, মোঃ আতাউর রহমান সরকার, পনির উদ্দিন আহমেদ, অ্যাড. লিয়াকত আলী খান, খান ইস্রাফিল খোকন, মেহেরুন নেসা খান হেনা, নুরুল ইসলাম তালুকদার, এ্যাড. লাকী বেগম, প্রফেসর ড. গোলাম মোস্তফা, আনিসুল ইসলাম মন্ডল, অ্যাডঃ তোফাজ্জল হোসেন, মাহমুদুর রহমান লিপটন, এ্যাড. মমতাজ উদদীন, প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, ইলিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার মনির আহমেদ, মাশরেকুল আজম (রবি), এ্যাড. শাহেদ আলী জিন্নাহ, আলা উদ্দিন মিয়া, মফিজুর রহমান মফিজ, ইয়াকুব হোসেন, আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবু তাহের, মেজর মাহফুজুর রহমান (অব.), ইঞ্জিনিয়ার মইনুর রাব্বী চৌধুরী রুম্মন, গোলাম রহমান মাসুম। ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গোলাম মোহাম্মদ রাজু, নজরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম মধু, শেখ আলমগীর হোসেন, সুলতান আহমেদ সেলিম, পীর ফজলুর রহমান মিজবাহ, এসএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, সাইফুল ইসলাম স্বপন, আবু সালেক, আহম্মেদ শফি রুবেল, শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী, লুৎফুর রেজা খোকন প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত