বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বিএনপির বন্ধুত্বের হাত সর্বদা জামায়াতের জন্য বাড়ানো আছে। যতটুকু দূরত্ব তৈরি হয়েছে, জাতীয় স্বার্থে আবার মিলিত হওয়া যাবে।’
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেজর হাফিজ বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ ছিল একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করা। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটি করা হয়নি। নির্বাচন নিয়ে তারা উদাসীন। মনে হয় যেন তারা বছরের পর বছর ক্ষমতায় থাকবে। ক্ষমতায় থাকুন সমস্যা নাই। তবে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটান। এমনই একটা দুর্বল সরকার যেখানে আনসার পর্যন্ত অভ্যুত্থান করতে চায়। সুতরাং অতি অল্প সময়ের মধ্যে জনগণের নির্বাচিত একটি সরকার প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ সরকারের কর্মকাণ্ডে কিছুটা হতাশ হয়েছি। তাদের অনেকে চার-পাঁচটা মন্ত্রণালয়ে বসে আছেন, কিন্তু সেখানে কোনো কাজ দেখছি না। অসংখ্য ছাত্র চিকিৎসা পাচ্ছে না। এ সরকারের প্রথম কাজ ছিল যারা হতাহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা। যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এদেরকে অন্তত ৫ কোটি করে টাকা দেওয়া উচিত ছিল। প্রত্যেকটা পরিবারকে ভাতা দেওয়া উচিত। এই পরিবারগুলো যদি হারিয়ে যায়, তাহলে এটা আমাদের জন্য একটা লজ্জার বিষয় হবে।’
মেজর হাফিজ বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্তই থাকবে। এই দুর্বল সরকার এটা ঠিক করতে পারবে না। একটা শক্তিশালী সরকার যদি দেশে আসে; জনগণের নির্বাচিত সরকার তাহলে এ সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে তারা সক্ষম হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিপ্লব হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বাংলাদেশের দিকে তাকালে মনে হয় না এখানে একটি বিপ্লব হয়েছে। এর প্রধান কারণ হলো, বর্তমান যে সরকারকে আমরা বসিয়েছি তাদের অনেকের মধ্যেই বিপ্লবী চেতনা নেই। এরা বিপ্লবকে ধারণ করেন না। যারা এই সরকারের দায়িত্বে আছেন তারা খুবই জ্ঞানী গুণী মানুষ। কিন্তু তাদের কোনো রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই।’
বিডি-প্রতিদিন/শআ