আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষকে ভোট দেয়ার সুযোগ দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বলে-অর্ন্তবর্তী সরকারের দেয়া আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কি আসতে পারবে? আমরা বলি আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচন চাইতো তাহলে তারা ক্ষমতায় থাকতেই নির্বাচনের প্রমাণ দিতে পারতো।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) চাঁপাইনবাবগঞ্জ হেফজুল মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তত্বাবধায়ক সরকারকে জবাই করেছে। ক্ষমতায় আসার পর তিনবার নির্বাচন করেছে। কিন্তু এদেশের যুবক-তরুণ-তরুনীসহ সাধারণ মানুষকে তারা ভোট দেয়ার সুযোগ দেয়নি।
জামায়াত আমীর বলেন, ১৪ সালের নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে যায়নি। আপনারা দেখেছেন তখন ভোটকেন্দ্রে কুকুরগুলো প্রশান্তির সাথে ঘুমাচ্ছিল, মানুষের সমাগম সেখানে ছিল না। মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছিল। ১৫৩ জন বিনাভোটে পাস করলো সেই নির্বাচনে।
তারপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আস্থা রাখেন নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। কিন্তু তিনি নিজেই নিজের উপর আস্থা রাখতে পারলেন না, ৩০ডিসেম্বরের পরিবর্তে ২৯তারিখ রাতেই নির্বাচন শেষ করে ফেললেন। এই নির্বাচনকে মানুষ বলেন, নিশি রাতের নির্বাচন।
তারপর ২৪ এর নির্বাচনে তারা ভয়াবহ এক রাষ্ট্রের সৃষ্টি করলেন। যে আওয়ামী লীগ নিজেই নির্বাচন চায়না, এরা কারা যারা এখন নির্বাচনে আসতে দাবি করে?
গত সরকারের সময় যারা উচ্ছিষ্ট ছিল তারাই এখন গলা তুলে কথা বলার চেষ্টা করছে। কিন্তু ছাত্র-জনতা যেমন স্বৈরাচারকে তাড়াতে পেরেছেন তারাই এই ভূতকে তাড়াতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
এই রুকন সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুজার গিফারী। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা দক্ষিণ জামায়াতের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, রাজশাহী মহানগরের আমীর আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম, সাবেক এমপি লতিফুর রহমান, সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান।
বিডি প্রতিদিন/আশিক